বাংলাহান্ট ডেস্ক : শোভন চট্টোপাধ্যায় প্রেয়সী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যাযয়ের শাড়ি প্রীতির গল্প অজানা নয় কারওই। সুন্দর সুন্দর শাড়ি কেনাটা তাঁর বেশ কয়েকটি শখের মধ্যে অন্যতম। কিন্তু একবার এই শাড়ি নিয়েই নাকি বিপাকে পড়তে হয়েছিল বৈশাখীকে। সেকথাও নিজেই জানিয়েছেন তিনি।
ছোটবেলা থেকেই শাড়ি পরার শখ বৈশাখীর। শাড়ি পরতে তিনি এতটাই ভালোবাসেন যে অন্য কোনও।পোষাকে তাঁকে দেখা যায় না বললেই চলে। পরার সঙ্গে সঙ্গেই চলে শাড়ি কেনাও। কিনতে কিনতে তাঁর সংগ্রহের শাড়ির সংখ্যাটা এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে বাড়ির ১০ টি আলমারি ভরার পরও এখনও স্থানসংকুলান করা দায় সব শাড়ির।
দু লক্ষ টাকার শাড়িও রয়েছে বৈশাখীর সংগ্রহে। যেকোনও পুজো পার্বণ বা উৎসবে অর্ডার দিয়ে ডিজাইন করিয়ে শাড়ি এবং জামাকাপড় একসঙ্গেই বানান শোভন বৈশাখী। এই প্রেমিক যুগলের রংমিলান্তি পোষাকের কথা কে না জানে বাংলায়। কিন্তু জানেন কি, এত শখের শাড়িই একবার চরম বিপাকে ফেলেছিল বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যত্নে পরা শাড়ি খুলে গিয়েছিল রাস্তার মাঝেই।
ঘটনাটি আসলে বহু বছর আগের। বৈশাখীর ছোটোবেলায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শাড়ি উপহার পেতেন তাঁর মা। সেই শাড়িতে প্রায়ই ভাগ বসাতেন তিনিও। একবার পুজোতে মেয়ের জন্য একটি কমলা রঙের শাড়ি পছন্দ করেছিলেন বাবা। শাড়ির রঙ এবং ডিজাইন অবশ্য খুব একটা মোটেই মনে ধরেনি শাড়ি-সৌখিন বৈশাখীর। কিন্তু বাবার কথামত একপ্রকার বাবার মন রাখতেই সেই কমলা শাড়ি পরে বান্ধবীদের সঙ্গে প্যাণ্ডেলে হাজির হন তিনি।
বৈশাখী বলেন, ‘এরপর আমি দেখি যে পাড়ার ছেলেরা আমার দিকে বারবার তাকাচ্ছে। কেউ কেউ আবার হাঁ করেই তাকিয়ে আছে। আমি তো অবাক! আমি তো মনে মনে ভাবছি যে আমাকে কি এতই সুন্দর লাগছে যে সবাই তাকিয়ে আছে?’ এ প্রশ্নের উত্তর অবশ্য মিলেছিল বাড়ি এসে। দেখা গিয়েছিল রাস্তাতেই খুলে গিয়েছিল শাড়িটি। কিন্তু বিন্দুমাত্র টেরই পাননি বৈশাখী। সেই খোলা অবস্থাতেই শাড়িটি পরে ঘোরাঘুরি করতে দেখেই তাকিয়েছিলেন সেই যুবকরা।