বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) জামিন পেয়ে ফেরার পর থেকে একাধিকবার শিরোনামে উঠে এসেছে বীরভূম। সেখানকার রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। এবার যেমন তৃণমূলের (Trinamool Congress) ব্লক সভাপতির এক বক্তব্য নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তিনি কি নাম না করেই অনুব্রত মণ্ডলকে নিশানা করেছেন? মাথাচাড়া দিয়েছে সেই প্রশ্ন।
নাম না করেই কেষ্টকে (Anubrata Mondal) আক্রমণ তৃণমূল নেতার?
বৃহস্পতিবার তৃণমূলের তরফ থেকে সিউড়ির ২ নং ব্লকে ধল্টেকুড়ি গ্রামে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলাম কাজল শেখের নেতৃত্বের বিস্তর প্রশংসা করেন। সেই সঙ্গেই নাম না নিয়ে নিশানা করেন বেশ কয়েকজনকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনুমান, অনুব্রত মণ্ডল তথা কেষ্টকেই এই আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি।
নুরুল ইসলাম বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা নিয়ে মিটিং মিছিলে ঢুকে যারা অশান্তি করছেন, তাঁদের সাবধান করছি। আমি এর অনুগামী, আমি ওর অনুগামী, এই সব কিছু এই ব্লকে চলবে না’।
আরও পড়ুনঃ তুলকালাম কাণ্ড! এবার সাসপেন্ড তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়! হঠাৎ কী হল?
এখানেই না থেমে তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতি আরও বলেন, ‘কেউ কেউ ভাবছে বড় নেতার পা ধরে পদ পাওয়া যাবে। সকাল থেকে রাত অবধি, কেউ কেউ বড় নেতাদের পায়ে তেল মালিশ করছেন… অনুব্রত মণ্ডল কেউ নন। একটাই নেতা, তাঁর নাম হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’। নুরুল ইসলাম বলেন, ‘যেই নেতাদের পায়ে তেল দিয়ে পড়ে থাকেন কিছু লোক, সেই সমস্ত নেতার মুখে আমি লাথি মারি’।
নিজের মন্তব্যে সরাসরি অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) আক্রমণ করেননি তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলাম। নাম না নিয়েই কয়েকজনকে আক্রমণ করেছেন তিনি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনুমান, তিনি আদতে কেষ্টকেই ‘টার্গেট’ করেছিলেন।
এদিকে কাজল শেখের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রসংশা করে নুরুল ইসলাম বলেন, ‘কাজল শেখ অনেক কিছু ত্যাগ দিয়েছেন। ওনার পরিবারকে হারিয়েছেন তিনি’। এখনও অবধি এই নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) কিংবা কাজল শেখ কেউ কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে তৃণমূল ব্লক সভাপতির মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে বিস্তর চর্চা।