বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২৫ সাল শেষের পথে। ২০২৬ সালে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য অষ্টম পে কমিশন আসার কথা। এদিকে দফায় দফায় ডিএ বাড়ছে কেন্দ্রের সরকারি কর্মীদের (Government Employees)। সেই তুলনায় পিছিয়ে বাংলা। বর্তমানে ষষ্ঠ পে কমিশনের আওতায় রয়েছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। সপ্তম বেতন কমিশন (WB 7th Pay Commission) নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেনি সরকার এখনও পর্যন্ত।
সপ্তম পে কমিশন নিয়ে জোরালো দাবি | WB 7th Pay Commission
রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশের ধারণা, যেহেতু সামনেই বিধানসভা ভোট, তাই আগে বাজেটে নয়া পে কমিশনের ঘোষণা হতে পারে। সেই নিয়ে জল্পনা চলছেই। এরই মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন ইউনিটি ফোরামের তরফে সপ্তম বেতন কমিশন গঠনের জন্য চাপ রাজ্য সরকারকে।
ইউনিটি ফোরামের তরফে আহ্বায়ক দেবপ্রসাদ হালদারের হুঁশিয়ারি, ‘৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যকে সপ্তম পে কমিশন গঠন করতেই হবে। নইলে ইউনিটি ফোরাম হাইকোর্টে মামলা করবে।’ অর্থাৎ এবার ফী আইনি পথে হাঁটার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে আপাতত কোনও আপডেট মেলেনি।
এদিকে কিছুদিন আগেই রাজ্যে সপ্তম পে কমিশনের দাবিদাওয়া নিয়ে সরব হন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন। কবে নয়া পে কমিশন গঠন হবে? সে নিয়ে নবান্নে আইনি চিঠিও যায়। সপ্তম বেতন কমিশন গঠনের দাবিতে রাজ্য সরকারকে একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি নোটিশ দেয় ‘ইউনিটি ফোরাম’। মুখ্য সচিব এবং অর্থ দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিবকে পাঠানো হয়েছে নোটিস।
উল্লেখ্য, কোনও বাঁধাধরা নিয়ম না থাকলেও কেন্দ্র ও রাজ্যে সাধারণত দশ বছর অন্তর পে কমিশন গঠন করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে ষষ্ঠ বেতন কমিশন গঠন করা হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর, প্রথম মেয়াদে। ২০১৫ সালের ২৭ নভেম্বর পে কমিশন (West Bengal 6th Pay Commission) গঠনের কথা ঘোষণা হয়। সেই মতো, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের গঠনের পর প্রায় দশ বছর কেটে গেছে। এই প্রেক্ষাপটে সপ্তম পে কমিশন গঠনের জোরালো দাবি উঠছে কর্মচারীমহলে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে রাজ্যের কর্মীরা কেন্দ্রীয় কর্মীদের তুলনায় মহার্ঘ ভাতার (Dearness Allowance) ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা সপ্তম বেতন কমিশনের অধীনে মোট ৫৮ শতাংশ ডিএ পাচ্ছেন। আর বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীরা ষষ্ঠ বেতন কমিশনের অধীনে মাত্র ১৮ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন। অর্থাৎ, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ-র ফারাক বেড়ে হয়েছে ৪০ শতাংশ।












