বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর হাতে গোনা কয়েকটা মাস। সব কিছু ঠিক থাকলে বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election)। তার আগে রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্প নিয়ে তুঙ্গে চর্চা। ভোটের আগে যে সরকারি প্রকল্পের দিকে সরকার বাড়তি নজর দেবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই আবহেই এবার রাজ্য সরকারের নিজস্ব প্রকল্প বাংলার বাড়ি (Bangla Awas Yojana) নিয়ে ভালো খবর উপভোক্তাদের জন্য।
ডিসেম্বর থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ের বাংলার বাড়ি | Bangla Awas Yojana
জানা যাচ্ছে, ডিসেম্বর মাস থেকেই বাংলার বাড়ির দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া শুরু করবে রাজ্য। দীর্ঘদিন ধরেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা আটকে রাখার অভিযোগ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। বহু কাঠ-খড় পুড়িয়েও কেন্দ্র টাকা না দেওয়ায় নিজের কোষাগার থেকেই ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের মাধ্যমেই বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
লোকসভা ভোটের তৃণমূল সুপ্রিমো ও সেকেন্ড ইন কমান্ডোর প্রতিশ্রুতি ছিল ভোটে জিতলেই শুরু হবে বাংলার বাড়ির কাজ। আর হয়েছেও তাই। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের ফলাফল সামনে আসার পর সে বছরই ডিসেম্বর মাস থেকে বাংলার ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে বাড়ি বানানোর জন্য টাকা দেওয়া শুরু করে তৃণমূল সরকার।
উল্লেখ্য, এই প্রকল্পের আওতায় উপভোক্তাদের দুই কিস্তিতে মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয় বাড়ি বানানোর উদ্দেশে। প্রথম কিস্তিতে ৬০ হাজার, আবার দ্বিতীয় কিস্তিতেও ৬০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। প্রথম ধাপে ইতিমধ্যেই রাজ্যের ১২ লক্ষ উপভোক্তা এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। এবার বিধানসভা ভোটের আগে ফের শুরু হবে বাংলার বাড়ির কাজ।
এই ধাপে ডিসেম্বর থেকে ১৬ লক্ষ পরিবারকে বাড়ির টাকা দেওয়া হবে। বর্তমানে রাজ্যে চলছে এসআইআই। এর মাঝেই শনিবার নবান্নে জেলাশাসকদের সঙ্গে স্বশরীরে বৈঠক সারেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সেখানে বাংলার বাড়ি সহ পথশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী, স্কুল শিক্ষা, জল জীবন মিশন, সহ একাধিক প্রকল্প নিয়ে পর্যালোচনা হয়।

আরও পড়ুন: ভোটার যাচাই করতে গিয়েই মিলল ৩৭ বছর আগে হারানো ছেলের খোঁজ! SIR-র চমৎকার পুরুলিয়ায়
উল্লেখ্য, মমতা সরকার সাধারণ মানুষকে বাংলার বাড়ি বানিয়ে দিলেও যে কোনও পরিবার এই অর্থ পাওয়ার যোগ্য নয়। বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। যেমন যাদের আগে থেকেই পাকা বাড়ি আছে বা যাদের সরকারি চাকরি, ব্যবসা বা আয়ের নির্দিষ্ট সীমা (১৫ হাজার টাকা মাসিকের বেশি) অধিক তারা এই সুবিধা পাবেন না। পাশাপাশি আয়কর বা প্রফেশনাল ট্যাক্স প্রদান করা পরিবারও এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারেবেন না।












