‘আমাকে মা ডাকত, এখনও গায়ে কাঁটা দিচ্ছে’, রশিদ খানের মৃত্যুতে আবেগপ্রবণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বাংলা হান্ট ডেস্ক : বছরের শুরুতেই এক অমূল্য রতনকে হারিয়েছি আমারা। মঙ্গলবার সেই মহান প্রতিভাই চলে গেলেন অমৃতলোকে। ১০ জানুয়ারি দুপুর ৩.৪৫ নাগাদ থেমে যায় জীবনের ঘড়ি। গত বছর ২২ নভেম্বর থেকে প্রস্টেট ক্যান্সার নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন রাগ সঙ্গীতের অন্যতম কিংবদন্তি রশিদ খান (Rashid Khan)। দীর্ঘ দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছিল চিকিৎসা।

এরপর গত মঙ্গলবার রাত থেকেই অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ভারপ্রাপ্ত ডাক্তাররা তড়িঘড়ি ভেন্টিলেশনে ভর্তি করে তাকে। যদিও শেষ রক্ষা আর হয়নি। মঙ্গলবার বেলা বাড়ার সাথে সাথেই অবস্থার অবনতি হতে থাকে। অবশেষে বেলা ৩ টে ৪৫ নাগাদ নিভে যায় রশিদ খানের (Rashid Khan) জীবন প্রদীপ। ঘটনা জানার সাথে সাথেই হাসপাতালে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

হাসপাতাল পৌঁছে শোকপ্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রশিদ আমাকে মা বলে সম্বোধন করত। সুরের সঙ্গে ওঁর সম্পর্ক আত্মিক, ওঁকে ওস্তাদ বলা হয়। আমাকে বাড়ি যাওয়ার জন্য বলেছিল। রাশিদের পাঠানো অনেক ভয়েস মেসেজ এখনও আমার কাছে আছে। রাশিদের চলে যাওয়া অপূরণীয় ক্ষতি। আমি ওঁর সন্তানদের দায়িত্ব নিলাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘রশিদ আমার ভাইয়ের মতো। গঙ্গাসাগর থেকে জয়নগরে যাওয়ার পর ফোন এসেছিল। নবান্নে ফিরে খবর আসে, কিছু একটা হয়েছে। ছুটে আসি।’ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার পর রাশিদের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় পিসওয়ার্ল্ডে। এরপর বুধবার সেখান থেকে রবীন্দ্র সদনে নিয়ে যাওয়া হয় সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ। সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর বাড়িতে এবং স্নান করিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে টালিগঞ্জের কবরস্থানে। এবং সেখানেই হবে রশিদ খানের শেষকৃত্য।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর