বাংলা হান্ট ডেস্ক : অযোধ্যার (Ayodhya) রামমন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের কাজ প্রায় শেষলগ্নে। জোরকদমে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। হাতে আর কয়েকটা দিন তারপরেই উদ্বোধন হতে চলেছে অযোধ্যার রাম মন্দির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) হাত দিয়েই উদ্বোধন হবে সেই মন্দির। উত্তেজনার পারদ চড়েছে রাম ভক্তদের মধ্যে। যদিও এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মতে, রাম মন্দির আসলে বিজেপির (BJP) গিমিক।
দীর্ঘদিনের তর্ক, বিতর্ক, আইনি ঝঞ্ঝাটের পর অবশেষে রাম মন্দির তৈরির অনুমতি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সমস্ত তথ্য প্রমাণের উপর ভিত্তি করে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, অযোধ্যার ঐ স্থান রামেরই। সেই নির্দেশ মেনেই তৈরি হচ্ছে রামলালার ঘর। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দাবি, আসন্ন ভোট বৈতরণী পার করতে এই রাম মন্দিরকে হাতিয়ার করছে বিজেপি।
এইদিন জয়নগরের সভা থেকে মমতা বললেন, ‘কালকে আমাকে জিজ্ঞেস করছিল, রামমন্দির নিয়ে আপনার কী বক্তব্য, যেন আর কোনও কাজ নেই। একটাই কাজ। আমি বললাম ধর্ম যার যার নিজের। উৎসব কিন্তু সবার। আমি সেই উৎসবে বিশ্বাস করি যে উৎসব সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে শেখায়। তোমরা করছ করো না। কোর্টের নির্দেশে করছ। এটা লোকসভার আগে একটা গিমিক শো করার চেষ্টা। তোমরা করো কিন্তু তাই বলে অন্য ধর্মের মানুষকে অবহেলা করা, এটা কারও কাজ নয়।’
আরও পড়ুন : আগামী ৪৮ ঘন্টায় আবহাওয়ার আমূল ভোলবদল! শুক্রে বৃষ্টির সম্ভাবনা? দেখুন IMD রিপোর্ট
সেই সাথে তিনি এটাও বলেছেন যে, বাংলায় ধর্মীয় ভেদাভেদের স্থান নেই। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘বাংলা শান্তির জায়গা, বাংলা কোনও ভেদাভেদ করে না। আমি আপনাদের কথা দিয়ে যাচ্ছি, যতদিন তৃণমূল কংগ্রেস থাকবে, বাংলার বুকে ভাগাভাগি করতে দেব না। এনআরসির সময় দেখেছেন কী আন্দোলন করেছিলাম, CAA’র সময় দেখেছেন কী আন্দোলন করেছিলাম। অনেক অত্যাচার আমাদের লোকের উপর হচ্ছে।’
আরও পড়ুন : ১২৪ ধারার দাবি, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে তৃণমূল ছাত্রনেতা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পর থেকেই নেটমহলে কানাঘুষা শুরু হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, বাংলা যদি এতই শান্তির জায়গা তাহলে সন্দেশখালির মত ঘটনা ঘটে কীভাবে? যদিও তৃণমূল সুপ্রিমো তাতে পাত্তা দিতে নারাজ। সেই সাথে তিনি যে মন্দির উদ্বোধনে যোগদান করবেননা সেটাও কার্যত স্পষ্ট করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।