বাংলা হান্ট ডেস্ক : ২০২০ সালের কৃষক আন্দোলনের (Farmer Protest) পর ফের একবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে দেশের হাজার হাজার কৃষক। একাধিক দাবি নিয়ে সরব হয়েছেন কৃষিজীবী মানুষরা। মঙ্গলবার সরকারের প্রতিশ্রুতি মত এমএসপি না পাওয়ার ক্ষোভ নিয়ে দিল্লির উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছিলেন কৃষকরা। আর সেই আন্দোলনই মারাত্মক আকৃতি ধারণ করল এইদিন। যার জেরে আগামী ১ মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হল দিল্লি সীমানায়।
আর এইদিন তাদের হয়েই গলা ফাটালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “তাদের উপর কাঁদানে গ্যাস দিয়ে আক্রমণ করা হচ্ছে। এভাবে দেশ এগোবে কী করে? বিজেপি যেভাবে কৃষকদের উপর নৃশংসভাবে অত্যাচার করছে, আমি তার তীব্র প্রতিবাদ করছি।” তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ‘মনে রাখবেন, এই কৃষকরাই আমাদের সকলকে টিকিয়ে রাখেন। আসুন সরকারি বর্বরতার বিরুদ্ধে কৃষকদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে দাঁড়াই।’
যদিও এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। কেন্দ্রকে ক্রমাগত আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, ‘এভাবে বিক্ষোভ দমন করার চেষ্টা না করে বিজেপির উচিত নিজেদের অহং এবং ক্ষমতা দখলের লোভ দমন করা। মনে রাখা দরকার, এই কৃষকরাই আমাদের অন্ন সংস্থান করেন। সরকারের নৃশংসতার বিরুদ্ধে আমাদের কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।’
আরও পড়ুন : সন্দেশখালি কাণ্ডে মুখ পুড়ল রাজ্যের! হাইকোর্টে বড় জয় শুভেন্দুর
যদিও এটাই প্রথম নয়, এর আগে ২০২০ সালে একবার ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল কৃষক আন্দোলন। সেই স্মৃতি উস্কে ফের একবার দিল্লির উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছেন কৃষকরা। তাদের দাবি এক নয় একাধিক। আর এবার এই মিছিল রুখতেই সিঙ্ঘু, টিকরি ও গাজিপুর সীমানা বন্ধ করে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। পথ আটকানো হয়েছে ব্যারিকেড আর কাঁটাতার দিয়ে। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা দিল্লি সীমানা।
আরও পড়ুন : ‘মাথায় বন্দুকের নল ঠেকিয়ে ধর্ষণ’, সন্দেশখালি কাণ্ডে উদ্বিগ্ন হাইকোর্ট! বড় সিদ্ধান্ত আদালতের
আর এবার কেন্দ্রের এই ভূমিকার উপরেই প্রশ্ন তুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও মমতা ব্যানার্জির এই বক্তব্যের পর সমালোচনাও কম হচ্ছেনা। সন্দেশখালির ঘটনা মনে করিয়ে সাধারণ মানুষ বলছে, ‘সবার আগে মুখ্যমন্ত্রীর তার নিজের রাজ্যের কথা ভাবা উচিত। এই রাজ্যে যে অরাজকতা চলছে সবার আগে সেটার প্রতিকার করা উচিত।’