অনুদান বন্ধের ভয়! নামফলকে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ লেখার ‘নির্দেশ’ রাজ্য সরকারের

   

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসার চাপ? এ বার পুর-এলাকায় সরকারি আবাস ‘হাউস ফর অল’ বা ‘সবার জন্য বাড়ি’ প্রকল্পে তৈরি বাড়ির ফলকে লিখতে হবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (Pradhan Mantri Awas Yojana) কথা। ঠিক এমনটাওই নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার (State Government)। আগে একাধিকবার কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম পাল্টে ফেলার অভিযোগ উঠেছে বাংলায়। পাল্টা নানা যুক্তি দিয়ে অভিযোগ খারিজ করেছে রাজ্য। তবে এবার কিছুটা ভিন্ন দৃশ্য। রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসার আগেই সুর নরম করল মমতা সরকার।

সূত্রের খবর, পুর এলাকায় হাউস ফর অল বা সবার জন্য় বাড়ি প্রকল্পে যে সরকারি আবাস তৈরি হচ্ছে সেখানে বাড়ির ফলকে সম্প্রতি বাধ্যতামূলকভাবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম সহ অন্যান্য বার্তা লেখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। আর ওপরমহলের নির্দেশ আসার পরই জোর কদমে শুরু হয়েছে কাজ।

উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, ইসলামপুর ও ডালখোলায় ইতিমধ্যেই পুরসভা আবাস যোজনার ফলক বদলে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম, বার্তা লেখার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের উল্লেখ না থাকলে ওই সব প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দিতে পারে মোদী সরকার। তাই আগেভাগেই পদক্ষেপ করা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, গত মাসেই রাজ্য নগরোন্নয়ন সংস্থার তরফে উত্তরের এই পুরসভা গুলোতে নাম বদলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে নির্দেশ মেনেই জেলার চারটি পুর-এলাকায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে কাজ। পুরসভা তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘নির্দেশ মতো কাজ হচ্ছে।’’

জানা যাচ্ছে, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রের প্রতিনিধিদল আসতে পারে। সেখানে এসে নাম বা ফলক নিয়ে কোনও বিতর্ক হলে এই প্রকল্পে কেন্দ্র টাকা বন্ধ করে দিতে পারে সেই আশঙ্কা থাকছেই। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে আগেই পদক্ষেপ শুরু করল পুরকর্তৃপক্ষ।

pmay

আরও পড়ুন: ‘সরকারি কর্মী, পেনশনার, শিক্ষক, সবাইকে কেন্দ্রীয় হারে DA দেওয়া হবে’, বিরাট ঘোষণা শুভেন্দুর

উল্লেখ্য, কেন্দ্র-রাজ্যের মিলিত এই প্রকল্পে মোট বরাদ্দ তিন লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা। এর মধ্যে কেন্দ্র দেড় লক্ষ টাকা প্রদান করে। রাজ্য প্রদান করে এক লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা। বাকি ২৫ হাজার টাকা উপভোক্তাকে প্রদান করতে হয়।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর