বাংলাহান্ট ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের শেষ দিন ছিল গত বৃহস্পতিবার। এদিন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাশ হয় জিএসটি সংশোধনী বিল, ২০২৩। বিধানসভায় এই বিল পেশ করেন রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, যখন এই বিল আইনে পরিণত হবে তখন অনেকটাই আর্থিকভাবে লাভ হবে সরকারের।
এই আবহে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় অধিবেশনের শেষ দিন পেশ হল জিএসটি সংশোধনী বিল, ২০২৩। প্রসঙ্গত, রাজভবনে গত কয়েক মাস ধরে পড়েছিল এই বিলটি। রাজ্যপাল এই বিলটি নিয়ে মোট ছয়টি প্রশ্ন রাখেন। রাজ্যপালের তরফ থেকে যে প্রশ্নগুলি সরকারের কাছে রাখা হয় সেগুলি অনেকটা এরকম, কেন বিলে ক্যাসিনো শব্দটি ব্যবহার করা হচ্ছে?
আরোও পড়ুন : হু হু করে বাড়ছে ডিমের দাম, পাল্লা দিচ্ছে চিকেনও! দেখুন, কোথায় কত রেট
বাংলায় কোথায় ক্যাসিনো রয়েছে? কেন ইংরেজিতে রাখা হয়েছে এই বিলটির নাম ইত্যাদি। রাজ্যপালের প্রশ্ন জানার পর রীতিমত বিরক্তি প্রকাশ করেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই অনলাইন গেমিং, জুয়ার উপর ২৮ শতাংশ জিএসটি কার্যকর করেছে। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জিএসটি কাউন্সিলের সদস্য।
আরোও পড়ুন : বছরের শেষে বাজিমাত জিও’র! এসে গেল নতুন প্ল্যান, রিচার্জ করলেই হাতে আসবে টাকা
কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য অনলাইন জুয়ার উপর কর বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করেন। কেন্দ্রীয় জিএসটির সাথে সামঞ্জস্য রাখার উদ্দেশ্যে পেশ করা হয় জিএসটি সংশোধনী বিল ২০২৩। জুয়ার উপর দেশের অন্যান্য রাজ্যে ২৮ শতাংশ জিএসটি কার্যকর হয় গত ১লা অক্টোবর থেকে। এবার থেকে এই বিল প্রযোজ্য হবে পশ্চিমবঙ্গে।
বিজেপি বিধায়ক অশোক গঙ্গোপধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় প্রশ্ন তোলেন রাজ্যে কেন এই বিল দেরি করে আনা হল? জবাবে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, বিলটি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল। তাই এই বিল পেশ হতে দেরি লাগল। ফলে এখন থেকে রাজ্যে অনলাইন গেমিং, জুয়া, বেটিং, লটারি, ঘোড়দৌড় ও ক্যাসিনোতে বাজি ধরার ওপর জিএসটি ধার্য করা হল।