বিধানসভা নির্বাচনের কারণে উচ্চ মাধ্যমিকে চাপ, তিন মাসে পাঠ্যক্রম শেষ করার দুশ্চিন্তা

Published on:

Published on:

WBCHSE high school students face time constraints pressure due to elections

বাংলা হান্ট ডেস্ক: চলতি বছর থেকে শুরু হয়েছে সেমিস্টার সিস্টেম। এই বছর প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষায় বসেছে উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র-ছাত্রীরা (WBCHSE)। আর সেই অনুযায়ী ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে প্রথম পর্বের পরীক্ষা। তবে দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত পর্ব নিয়ে আশঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে। কারণ বিধানসভা নির্বাচনের ফলে পরীক্ষা এগিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। যার ফলে চাপের মুখে পড়তে চলেছে পড়ুয়ার। পড়ুয়াদের পাশাপাশি শিক্ষক শিক্ষিকারা চিন্তায় পড়েছেন। কিভাবে তারা এই কটা দিনে সমস্ত বিষয়ের পাঠ্যসূচি শেষ করবে।

সময় সংকটে উচ্চ মাধ্যমিকে, নির্বাচনের কারণে চাপ (WBCHSE)

প্রসঙ্গত ২০২৬ সালে রয়েছে এ রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন। সে কারণেই উচ্চ মাধ্যমিকের (WBCHSE) দ্বিতীয় ও ফাইনাল সেমেস্টারের পরীক্ষা এগিয়ে আনা হচ্ছে ফেব্রুয়ারিতে। যদিও এর আগে সেমিস্টার পদ্ধতি চালু হওয়ার পূর্বে, ছয় মাস গঠন-পাঠনের পর পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই নির্বাচনের ফলে সেই সময় পাওয়া যাচ্ছে না।

WBCHSE high school students face time constraints pressure due to elections

আরও পড়ুন: ভাত বা রুটির সঙ্গে রসুন পোড়ায় দই মুরগি, বাড়িতে বানানোর সহজ টিপস

জানা গিয়েছে, আগামী বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে। অন্যদিকে উৎসবের কারণে গোটা অক্টোবরে বন্ধ থাকছে স্কুল। তবে সরকারি ভাবে পঠনপাঠন শুরু হবে চলতি বছর ২৫ অক্টোবর। তবে বিদ্যালয়ের শুরু হওয়ার পরও ছমাসের জায়গায় মাত্র তিন মাস পাবে শিক্ষক-শিক্ষিকারা পড়াশোনার জন্য।

আর এর ফলে শিক্ষা মহলের একাংশ মনে করছে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা সমস্যায় পড়তে পারেন। তাদের মতে, পরীক্ষায় এগিয়ে দেওয়ার ফলে হাতে তিনেক সময় পাবেন শিক্ষকেরা। যার মধ্যে রয়েছে অন্য নানা পরীক্ষা। এর ফলে ব্যাহত হতে পারে দ্বাদশের পঠনপাঠন। তবে এই বিষয়ে নারায়ণদাস বাঙ্গুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া জানান, এখন‌ও পর্যন্ত ক্লাস শুরুই করা যায়নি। সিলেবাস শেষ করা তো দূরের কথা। নভেম্বর থেকে পঠনপাঠন শুরু হলেও হাতে মাত্র ৯০ দিন সময় পাওয়া যাবে। এই সময়ের মধ্যে সিলেবাস শেষ করা অত্যন্ত কঠিন।

যদিও ২০২৬ এর ১৬ মার্চের পর উচ্চ মাধ্যমিক (WBCHSE) পরীক্ষা হওয়ার কথা। আর গত ২২ সেপ্টেম্বর শেষ হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষা। তার পরই পুজোর ছুটি পড়ে গিয়েছে। এই পুজোর ছুটির পর নভেম্বরে ক্লাস শুরু হলেও নানা কার্যক্রম রয়েছে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। যার ফলে হাতে অনেকটাই কম সময় পাওয়া যাচ্ছে। এর ফলে ক্লাস বিঘ্নিত হবে বলে মনে করছে স্কুলগুলি।

যদিওউচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অধীনে স্কুল রয়েছে ৬৭৭ টি। আরে এতটা কম সময় পাওয়ায় শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে শুরু করে পড়ুয়া ও অভিভাবকেরা সকলেই চিন্তায় পড়েছেন। এতটা কম সময়ের মধ্যে কিভাবে সমস্ত সিলেবাস কমপ্লিট করবে তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে (WBCHSE)।