বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার থেকে শুরু হল ২০২৬ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। এবার একেবারেই নতুন নিয়মে পরীক্ষা নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (WBCHSE)। প্রশ্নফাঁস রুখতে এবারে প্রশ্নপত্রে থাকছে বিশেষ বারকোড। এর মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁস হলে সহজেই শনাক্ত করা যাবে কোন কেন্দ্র বা পরীক্ষার্থী জড়িত।
প্রশ্নফাঁস রুখতে কড়া নজরদারিতে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (WBCHSE)
সংসদ (WBCHSE) জানিয়েছে, প্রতিটি প্রশ্নপত্রে থাকবে আলাদা আলাদা বারকোড। এই বারকোডের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরীক্ষার্থী বা কেন্দ্রকে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। ছাত্রছাত্রীদের সামনেই পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্রের সিল খোলা হবে। এতে স্বচ্ছতা বাড়বে বলে মনে করছে সংসদ।
এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলবে ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হবে, এবং চলবে ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত। মিউজিক, ভিসুয়াল আর্টস ও ভোকেশনাল বিষয়ের পরীক্ষা চলবে সকাল ১০টা থেকে ১০টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। এবারে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লক্ষ ৬০ হাজার, যা গত বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এর মধ্যে ছাত্রীদের সংখ্যা ছাত্রদের তুলনায় প্রায় ৮০ হাজার বেশি।
এবছর প্রথমবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে তৃতীয় ও চতুর্থ সেমেস্টার মডেলে। সেপ্টেম্বরের এই প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষা হবে এমসিকিউ ভিত্তিক ওএমআর সিটে। দ্বিতীয় পর্যায় অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে। দু’টি পর্যায়ের নম্বর যোগ করেই প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত ফল। অন্যদিকে, পরীক্ষার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে প্রতিটি ভেন্যুতে সিসিটিভি বসানো হয়েছে। ক্যালকুলেটর, মোবাইল বা অন্য কোনও বৈদ্যুতিন যন্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্রে আনা যাবে না বলে জানিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (WBCHSE)।
আরও পড়ুনঃ ঝাড়গ্রাম থেকে কলকাতা, বালিপাচার মামলায় প্রথমবার ED-র ম্যারাথন তল্লাশি, উত্তাল রাজ্য রাজনীতি
নতুন সেমেস্টার পদ্ধতি ও বারকোড প্রযুক্তি নিয়ে এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা একেবারেই নতুন রূপে হাজির হচ্ছে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (WBCHSE) আশাবাদী যে, এই ব্যবস্থায় প্রশ্নফাঁসের সমস্যা আর থাকবে না এবং পরীক্ষার নিরপেক্ষতা আরও শক্তিশালী হবে।