বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে দেশজুড়ে চলছে লোকসভা নির্বাচন। ভোট নিয়েই ব্যস্ত কমবেশি প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল। এই আবহে চুপিসারে রাজ্যে বিদ্যুতের মাশুল বাড়ানো হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে এমনটাই দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
শনিবার সন্ধ্যায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি (BJP) বিধায়ক। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধির (Electric Tariff Hike) তথ্য গোপন করে সাধারণ মানুষকে লুটছে। নিজের দাবির স্বপক্ষে দু’টি বিদ্যুতের বিলের ছবিও শেয়ার করেছেন শুভেন্দু।
West Bengal State Electricity Distribution Company Limited (WBSEDCL) has quietly rearranged the Tariff Slab in order to extract more out of the pockets of the Consumers.
It’s a very shrewd and cunning move. The rate of tariff hasn’t been increased but the existing slabs have… pic.twitter.com/jghrMOcrKN
— Suvendu Adhikari (Modi Ka Parivar) (@SuvenduWB) May 4, 2024
বিজেপি নেতা লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা (WBSEDCL) চুপিসারে মাশুল তালিকা পুনর্গঠন করেছে। অত্যন্ত সুচতুরভাবে এই কাজ করা হয়েছে। ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি না করা হলেও, স্ল্যাব এমনভাবে বদল করা হয়েছে যাতে গ্রাহকদের বেশি টাকা গুনতে হয়। একজন গ্রাহকের মে থেকে জুলাই মাসের বিদ্যুতের বিলে নবগঠিত মাশুল তালিকা ছাপা হয়েছে। তবে বিভিন্ন জায়গায় গ্রাহকরা বিভিন্ন তালিকা পাচ্ছেন।
আরও পড়ুনঃ ‘ধর্ষণের অভিযোগ সাজানো!’, সন্দেশখালি কাণ্ডে তোলপাড় করা দাবি রেখার, BJP প্রার্থী বললেন…
শুভেন্দু নিজের পোস্টে লিখেছেন, ‘নতুন মাশুল তালিকা অনুযায়ী আমি দু’টি সম্ভব্য বিদ্যুতের বিলের হিসাব তুলে ধরছি। প্রথম, এতদিন যদি ৩০০ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হতো, তাহলে পুরনো মাশুল তালিকা অনুযায়ী গ্রাহককে ১৯৪৮.৬০ টাকা দিতে হতো। তবে মাশুল তালিকা পুনর্গঠনের ফলে তাঁকে গুনতে হবে ২৩৫১.১৮ টাকা। দ্বিতীয়, ১০০০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হলে গ্রাহককে এতদিন ৭৪৫৬.০৪ টাকা দিতে হতো। তবে নবগঠিত মাশুল তালিকায় তাঁকে ৮৮০৫.১৮ টাকা দিতে হবে’।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, এভাবেই তথ্য প্রকাশ্যে না এনে গ্রাহকদের লুঠ করে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। যদিও শুভেন্দুর যাবতীয় অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের ডিরেক্টর পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেছেন, সমাজমাধ্যমে যে বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধির খবর ঘোরাফেরা করছে তা ভুয়ো।
পার্থপ্রতিম বলেন, ‘সংস্থার তরফ থেকে এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কিছু মানুষ ইচ্ছা করে ভুয়ো খবর ছাড়াচ্ছেন। গত ৬ মার্চ শেষবার বিদ্যুৎ মাশুলের সমীক্ষা হয়েছিল। সেখানে মাশুল বাড়ানোর কোনও সুপারিশ করা হয়নি’।