বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া (WBSSC Exam) ঘিরে দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে অপেক্ষা ও উত্তেজনা চলছে। কবে পরীক্ষা হবে, কীভাবে হবে, এই প্রশ্নই কমিশনের দিকে। এর মধ্যেই আবেদনের পরিসংখ্যান এবং পরীক্ষার সম্ভাব্য সময়সূচি নিয়ে সামনে এল একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থীর জন্য এই আপডেট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
রেকর্ড সংখ্যক আবেদন, তবু কমল প্রতিযোগিতা? (WBSSC Exam)
চলতি বছরে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি পদের (WBSSC Exam) জন্য মোট আবেদন জমা পড়েছে ১৬ লক্ষেরও বেশি। কমিশন সূত্রে খবর, এর মধ্যে গ্রুপ সি পদের জন্যই আবেদনকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তবে আগের বছরের পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে, প্রতিযোগিতার গ্রাফ এবার কিছুটা নামের দিকেই। ২০১৬ সালে এই দুই পদের জন্য যেখানে মোট আবেদন ছিল ১৮ লক্ষেরও বেশি, সেখানে এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৬ লক্ষে। অর্থাৎ কয়েক বছরের ব্যবধানে প্রায় ২ লক্ষ আবেদন কমেছে বলে জানা যাচ্ছে।
পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ
প্রাথমিকভাবে জানুয়ারি মাসে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পরীক্ষা (WBSSC Exam) নেওয়ার কথা থাকলেও, বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই সময়সূচি বদলাতে পারে। পরীক্ষার্থীর বিশাল সংখ্যার কথা মাথায় রেখেই কমিশন তাড়াহুড়ো না করে পুরো বিষয়টি সামলাতে চাইছে। নতুন করে যে ইঙ্গিত মিলছে, তাতে জানুয়ারির বদলে ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের পর এই পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি, দু’টি পদের জন্য আলাদা আলাদা দিনে বা আলাদা শিফটে পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে।
দেরির মূল কারণ হিসেবে উঠে আসছে পরীক্ষাকেন্দ্রের সমস্যা। ১৬ লক্ষ পরীক্ষার্থীর জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক পরীক্ষাকেন্দ্র জোগাড় করা এবং একই সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা পরিচালনা করা কমিশনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই কারণেই সব দিক নিশ্চিত করেই পরীক্ষার (WBSSC Exam) দিন ঘোষণা করতে চাইছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
আবেদনের ফি নিয়ে প্রতিক্রিয়া পরীক্ষার্থীদের
আবেদন চলাকালীন পরীক্ষার (WBSSC Exam) ফি নিয়েও পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ভিন্ন মত দেখা গেছে। বিশেষ করে সাধারণ এবং ওবিসি ক্যাটাগরির প্রার্থীরা ফি-এর পরিমাণ নিয়ে কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কারণ সাধারণ ও ওবিসি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি, দু’টি পদের জন্য মোট ফি দিতে হয়েছে ৮০০ টাকা, অর্থাৎ প্রতিটি পদের জন্য ৪০০ টাকা করে। অন্যদিকে সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থীদের জন্য মোট ফি ছিল ৩০০ টাকা, অর্থাৎ প্রতিটি পদের জন্য ১৫০ টাকা করে। অনেক সাধারণ প্রার্থীর দাবি, বেকার পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে ফি-এর কাঠামো আরও কিছুটা সহনশীল হলে ভালো হতো।

আরও পড়ুনঃ মেসি দেখতে গিয়ে বিশৃঙ্খলা, যুবভারতী কাণ্ডে হাই কোর্টে একাধিক মামলা, কবে শুনানি?
যদিও পরীক্ষার (WBSSC Exam) চূড়ান্ত তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি এবং ফেব্রুয়ারির সময়সূচি আপাতত সম্ভাব্য হিসেবেই ধরা হচ্ছে, তবুও হাতে খুব বেশি সময় নেই। তাই পরীক্ষার্থীদের এখন থেকেই সিলেবাস অনুযায়ী প্রস্তুতি ও রিভিশনে মন দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট মহল। শেষ মুহূর্তের অপেক্ষা না করে আগেভাগেই প্রস্তুতি সেরে রাখাই এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।












