বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সারা বিশ্বজুড়ে মারণ ভাইরাস করোনার (corona) একটা ভ্যাকসিনের জন্য মানুষ যেন হাহাকার করছে। কীভাবে এই সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচা যায় সেদিকেই সবাই তাকিয়ে আছে। এই ভাইরাসের জেরে সরকার বাধ্য হয়েছে দেশজুড়ে লকডাউন করতে। আর লকডাউনে অনেক মানুষ তাদের কাজ হারিয়েছেন।
হতদরিদ্র মানুষেরা একবেলা আধপেটা খেতে দিন কাটাচ্ছেন। এই ভাইরাস বহু মানুষের প্রাণ নিয়েছে। বহু মানুষকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য করেছে। ভাইরাসের প্রকোপ একমাত্র কমতে পারে প্রতিষেধক আবিষ্কার হলে! আর তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য দিন রাত এক করে ফেলছেন।
নতুন করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) রোগের টিকা (ভ্যাকসিন) উদ্ভাবনের দাবি করেছে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ অব কোম্পানিজ লিমিটেড’র সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কোনো প্রতিষ্ঠান এই টিকা উদ্ভাবনের দাবি করল। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, টিকা উদ্ভাবনে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন প্রতিষ্ঠানের সিইও ড. কাকন নাগ এবং সিওও ড. নাজনীন সুলতানা। প্রতিষ্ঠানটি গত ৮ মার্চ এই টিকা তৈরির কাজ শুরু করে।
গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান ডা. আসিফ মাহমুদ ভ্যাকসিনটি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। কথা বলতে গিয়ে তিনি এক পর্যায়ে আবেগে কান্না ধরে রাখতে পারেননি।
দ্রুত মাইক্রোফোন ত্যাগ করে চোখের জল আড়াল করার চেষ্টা করেন। তার এই কান্না দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন দেশবাসী। এর মাঝেও কিছু পরশ্রীকাতর লোক এই ভ্যাকসিন আবিস্কার নিয়ে বিরূপ মন্তব্য শুরু করেন। তাদের এমন লজ্জাজনক আচরণে ভীষণ চটে গেছেন বাংলাদেশের পেসার রুবেল হাসান (Rubel Hassan)।
শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে রুবেল লিখেছেন, ‘আসিফ মাহমুদ ভাই যখন বলছিলেন যে আমরা করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিস্কার করেছি, কথাটি বলতে বলতেই উনার কান্না চলে আসছে!
বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠান সাহস নিয়ে দাবি তো করতে পারল যে তারা আবিস্কার করছে, সফল হোক ব্যর্থ হোক সেটা পরের বিষয়।’ রুবেল ফেসবুকে লিখেছেন, ” চিন বা আমেরিকা এই দাবি করলে এই আমরাই আবার অভিনন্দন জানিয়ে বাংলার আকাশ বাতাস মাতিয়ে দিতাম, আসলেই আমরা এক ভণ্ড জাতি। বিন্দু পরিমাণ কৃতজ্ঞতাবোধ আমাদের নেই। এই জন্যে এদেশে জ্ঞানী মানুষ জন্মায় না। কারণ জ্ঞানীদের কদর এদেশে নেই।
‘অথচ আমরা একটা অভিনন্দন পর্যন্ত জানালাম না। চীন বা আমেরিকা এই দাবি করলে এই আমরাই আবার অভিনন্দন অভিনন্দন জানিয়ে বাংলার আকাশ বাতাস মাতিয়ে দিতাম, আসলেই আমরা এক ভণ্ড জাতি।
‘অনেকে হাসাহাসি করছে, ট্রলে মেতে উঠেছে যে বাংলাদেশ থেকে নাকি করোনার ভ্যাকসিন আবিস্কার করবে! চেষ্টা তো করছে তারা, দেখা যাক না কী হয়! একটু অভিনন্দন তো তারাও পেতে পারেন! এরাই দেশের রিয়েল হিরো।’