‘বাংলার জন্য আমরাই যথেষ্ট’- মিমকে আক্রমণ করে বললেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসির (asaduddin owaisi) বঙ্গ সফরের দিনই তাদের ধুয়ে দিলেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (Siddiqullah Chowdhury)। রবিবার সিউড়ির ইদগাহ মাঠে গণবিক্ষোভ সভা থেকেই মিম এবং বিজেপিকে টার্গেট করলেন জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দের রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।

আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সকল রাজনৈতিক নেতৃত্বই নিজেদের মত করে প্রচার করছে। অন্যদলকে ছোট দেখাতে সেই দলের ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর খুঁতও খুঁজে বের করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিরোধী শিবির। এতদিন ধরে একদিকে বিজেপি, অন্যদিকে তৃণমূল এবং সদ্য একজোট হওয়া কংগ্রেস-সিপিএম জোট শরিকের মধ্যে বাংলার মসনদ দখলের লড়াই ছিল। এবার বাংলায় নতুন করে আগমন ঘটল মিমের। বিহার নির্বাচনে ৫ টি আসনে জয়লাভ করার পর তাদের টার্গেট বাংলায় নিজেদের দল প্রতিষ্ঠা করা। সেইমতই বিধানসভা নির্বাচনকে টার্গেট করেছে মিম।

maxresdefault 130

নির্বাচনকে পাখির চোখ করে রবিবার সিউড়ির ইদগাহ মাঠে গণবিক্ষোভ সভা করে জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ। সভার প্রধান বক্তা ছিলেন জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দের রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। সভায় দাঁড়িয়েই একাধারে বিজেপি এবং অন্যদিকে মিমকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন। তবে অন্যান্য দিনের মত এদিন তাঁর গলায় অনুব্রত মণ্ডলের সমালোচনা করতে শোনা যায়নি।

মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিজেপি এবং মিমকে একসঙ্গে আক্রমণ করেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। সেইসঙ্গে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভের মঞ্চ থেকেই বর্তমান সময়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কোন ভুল করে থাকলে, আমাদের বলুন। অনুব্রতর ভুল হলে, ওকে বলুন। কৃষি মন্ত্রীর ভুল হলে, তাঁকে বলুন। অনেক মুসলিমকে দেখছি তারা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন আবার নামাজ পড়ছেন। তাদেরকে একটাই অনুরোধ করব, দয়াকরে কেউ বিষ খাবেন না’।

তিনি আরও বলেন, ‘আজকেই হায়দ্রাবাদ থেকে মিম নামে একটি পাখি উড়ে এসে জুড়ে বসতে চাইছে। এটিও আর একটি বিষ মাখা খাবার। দিদিকে কোণঠাসা করতে বিজেপির দালাল হয়ে মিম এখানে আসছে। ওদের থেকে সাবধান হোন। হায়দ্রাবাদের মৌলবির এখানে কোন প্রয়োজন নেই, এখানে আমরাই যথেষ্ট’।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর