বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তানের (Pakistan) রেলমন্ত্রী করুন আর্তি জানালেন। বললেন, আমাদের কাছে টাকা নেই। করোনা (corona) আক্রান্তদের জন্য ভেন্টিলেটর কেনার।’
চিনের (china) উহান (uhana) থেকে যখন একের পর এক দেশ নিজের নাগরিকদের নিয়ে চলে এসেছে দেশে, তখন পাকিস্তান উহানে অবস্থিত পাকিস্তানিদের দেশে ফেরত আনেনি। এমনকি, ভারতের (india) তরফেও ইমরান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবিষয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়, তবে তাতেও সায় দেননি ইমরান। এমন ঘটনার পর পাকিস্তানের মাটিতেও করোনার দংশন শুরু হয়। আর সেই পরিস্থিতিতে পাক রেলমন্ত্রীর বক্তব্য ঘিরে ফের আলোচনা তুঙ্গে।
পাক রেলন্ত্রীর অসহায় বার্তা পাকিস্তানের আর্থিক পরিস্থিতি ক্রমাগত সংকটের দিকে যাচ্ছে। আর এমন অবস্থায় করোনার হানায় জেরবার সেদেশ। করোনা পরিস্থিতি সামলাতে পাকিস্তানের কাছে উপযুক্ত পরিকাঠামো যে নেই তা রবিবার মেনে নেন সেদেশের রেলমন্ত্রী শেখ রাশিদ (Sheikh Rashid)।
দেউলিয়ার পথে পাকিস্তান, পাকিস্তানের আর্থিক পরিস্থিতি ক্রমেই পতনের দিকে যাচ্ছে। চিন নির্ভর এই দেশের সংকট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে করোনার দাপট। চিনে করোনার দাপটের জেরে পাকিস্তানের বাণিজ্য় ও অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। আর এমন পরিস্থিতিতে করোনার হানা খোদ পাকিস্তানকেও বিপাকে রেখেছে।
শেখ রশিদ বলেন ‘ ওটাকে কী বলে.. মাস্ক না… ভেন্টিলেটর.. হ্য়াঁ! আমাদের কাছে ভ্যান্টিলেটর নেই। আমরা আজকে ভ্যান্টিলেটরের রেট খোঁজ নিয়েছিলাম। ওটা লাখ টাকা ন , কোটি টাকা দাম। আমাদের কাছে ওটা কেনার টাকা নেই। ‘
ইমরানের দফতরে বিদ্যুতের সংযোগ বিভ্রান্তি এইবারই প্রথম নয়, এর আগেও পাকিস্তান প্রবল সংকট দেখেছে। কয়েকদিন আগেই ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রীর দফতের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেয় সেদেশের বিদ্যুৎ বিভাগ। কারণ , ইমরানের দফতর বিদ্যুতের বকেয়া বিল দেয়নি তখনও। পাকিস্তানে সরকারী সম্পত্তি বিক্রি পাকিস্তানে সরকারী সম্পত্তি বিক্রির থেকেএ পিছপা হয়নি সরকার।
পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী শেখ রশিদের এই অসহায় মন্তব্য পাকিস্তানের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানান দিচ্ছে। উল্লেখ্য, পাক রেলমন্ত্রী জানান করোনা পরিস্থিত সামলাতে পাকিস্তানের রেল হাসপাতালে ভেন্টিলেটরও পর্যাপ্ত নেই।