বাংলাহান্ট ডেস্ক: অবশেষে অর্থনৈতিক সঙ্কট (Pakistan Economic Crisis) ছেয়ে ফেলল পাকিস্তান সেনাকেও (Pakistan Army)। দেশের চূড়ান্ত খারাপ সময়েও নিজেদের ব্যয় কমাতে রাজি ছিল না সেনা। পাক সরকারও সামরিক বাজেটে কোনও কাটছাট করেনি। যার খেসারত দিতে হয়েছে বাকি দেশবাসীকে। জিনিসপত্রের ঘাটতি থেকে শুরু করে আকাশছোঁয়া দাম। সব কিছুই দেখেছেন আম পাকিস্তানি জনতা।
সেনার বাজেট না কমালেও একাধিক মন্ত্রকের জন্য বরাদ্দ অর্থ প্রায় ৮০ শতাংশ অবধি কমানো হয়েছে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। এর ফলে পাকিস্তান সেনাও এ বার সাধারণ মানুষের মতো জিনিসের দামের আন্দাজ পেল। অবস্থা এতটাই খারাপ যে সামরিক গাড়িগুলিতে তেল ভরার মতোও টাকা নেই তাদের কাছে। এই অবস্থায় পাকিস্তান তাদের জাতীয় দিবসের (National Day) বাজেটে কাটছাট করেছে।
আগামী ২৩ মার্চ কোনও আড়ম্বর ছাড়াই তাদের রাষ্ট্রপতি ভবনে নিয়মরক্ষার জাতীয় দিবস পালন করবে তারা। পাকিস্তান দিবসে জয়েন্ট সার্ভিস প্যারেডের আয়োজন করবে সেনা। সেটি করা হবে ইসলামাবাদের রাষ্ট্রপতি ভবন আওয়ান-ই-সদরে। এই প্যারেডে সেনার একটি স্কোয়াড থাকলেও কোনও অস্ত্র প্রদর্শন করা হবে না। এছাড়াও খুবই অল্প সংখ্যক বিমানই ফ্লাই পাস্ট করবে।
পাক রাষ্ট্রপতি আরিফ আলবি (Arif Alvi) এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন। কিন্তু তাঁর সঙ্গে খুবই সীমিত সংখ্যক অতিথি উপস্থিত থাকবেন। কোনও বহিরাগতকে এই অনুষ্ঠানে রাখা হচ্ছে না। পাকিস্তান সরকারের আমলা ও রাজ্যের নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই একটি মিনি বাজেট পেশ করবে পাক সরকার। তাতে সাধারণ মানুষের অস্বস্তি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সাধারণ মানুষের উপর আরও করের বোঝা চাপাতে চলেছে পাক সরকার। দেশে একেই জিনিসের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তার উপর বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারও তলানিতে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও তাদের সাহায্য করতে চাইছে না। পাক সেনা প্রধান অসিম মুনির (Asim Munir) দেশকে অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে বের করে আনার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। আমেরিকা ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি গিয়ে তাদের থেকে সাহায্য চেয়েছিলেন মুনির। কিন্তু পাকিস্তানকে সাহায্য করতে কেউ এগিয়ে আসেনি।