বাংলা হান্ট ডেস্ক: আবহাওয়ার (Weather) পূর্বাভাস অনুযায়ী বলা হয়েছিল যে, ৪ থেকে ৫ মে দেশজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই পূর্বাভাস প্রায় মিলিয়ে দিয়ে একদিন পরেই নামল মুষলধারে বৃষ্টি। আর তাতেই ঘটল প্রবল বিপত্তি। ঘন কালো মেঘে দিনের বেলাতেও আকাশ ছিল অন্ধকার। আর বিকেল শুরু হওয়ার সাথে সাথেই অ্যাকশনে নামে প্রবল বৃষ্টি এবং বজ্রপাত।
এমনকি, পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক হয়ে যায় যে তুলনামূলক নিচু এলাকাগুলি কার্যত ডুবে যায়। পাশাপাশি সমস্যা হয় যানবাহন চলাচলেও। তবে, মরশুমের প্রথম তুমুল বর্ষণে মানুষ স্বস্তি পেলেও জল জমে যানজট হওয়ার কারণে তৈরি হয়েছে ভোগান্তিও। পাশাপাশি, যাঁরা অফিস থেকে ফিরছিলেন তাঁরাও পড়েছেন সমস্যায়।
আর এই চিত্রই ফুটে উঠেছে পড়শি দেশ বাংলাদেশে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, দিন কয়েক আগে থেকেই বাংলাদেশের যশোর থেকে শুরু করে চুয়াডাঙা, রাজশাহি ও পাবনা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ পরিলক্ষিত হয়। পাশাপাশি, ঢাকা, রাজশাহী এবং খুলনার বাকি এলাকাগুলিতেও দাপট দেখাতে থাকে তাপপ্রবাহ।
আরও পড়ুন: ফের ব্যাঙ্ক থেকে ৫,০০০ কোটির ঋণ নিতে চলেছেন গৌতম আদানি! কারণ কী?
এদিকে, জানা গিয়েছে যে বাংলাদেশের সব থেকে বেশি ঝড় এবং বজ্রপাত ঘটে মে মাসে। পাশাপাশি জুন, সেপ্টেম্বর এবং এপ্রিলেও এগুলির প্রভাব বজায় থাকে। কিন্তু চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে মাত্র একটি কালবৈশাখীর ঘটনা ঘটেছে। এমতাবস্থায়, ঢাকা শহরে তীব্র দাবদাহ অনুভূত হয়। শুধু তাই নয়, উত্তর এবং দক্ষিণ ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা জুড়েই দাপট দেখাতে থাকে তাপপ্রবাহ। যদিও, অবশেষে মিলল বৃষ্টির স্বস্তি।
আরও পড়ুন: ম্যাচ ফিক্সিং করে গিয়েছেন জেলে! বিশ্বকাপের আগে ভিসা পাচ্ছেন না পাকিস্তানের এই খেলোয়াড়, সঙ্কটে টিম
এমতাবস্থায়, দেশের হাওয়া অফিসের তরফে তিন দিনের জন্য আবহাওয়া পরিস্থিতির পূর্বাভাস দেওয়া হয়। যেখানে বলা হয় সিলেট এবং চট্টগ্রামের কিছু অংশে তুমুল বৃষ্টি হতে পারে। আর সেই পূর্বাভাস হল সত্যি। সোমবার বিকেল থেকেই টানা বর্ষণ হয়েছে। যার ফলে গরম থেকে মিলেছে কিছুটা স্বস্তি।