বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গত নভেম্বর মাসে ঘূর্নিঝড় ‘বুলবুল’ আছড়ে পড়েছিল সুন্দরবন এলাকায়। ক্ষতির পরিমান ছিল যথেষ্ট। আম্ফানের গতিমুখ এখনো নির্ধারণ করা না যায়নি। ঠিক কতটা শক্তি নিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে তাও এখনো বলা যাচ্ছে না।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই শক্তি বাড়িয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে চলেছে ‘আম্ফান’। আইএমডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ১৩ মে, বুধবার আমফান ঝড়ের জন্ম প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। আর আগামী ১৬ মে এই ঝড় তীব্র আকার ধারণ করবে। এখনো এই ঝড়ের গতিমুখ সম্পর্কে কিছুই বলা যাচ্ছে না। সাধারণ ভাবে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের উপকূলে আছড়ে পড়বে মনে করা হলেও INCOIS মনে করছে অন্ধ্র বা তামিলনাড়ু উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে এই ঝড়। যা ওড়িশার দিকে বয়ে যাবে। উভয় ক্ষেত্রেই দক্ষিণ এর জেলা গুলিতে ঝড়ের প্রভাব পড়বে।
বাংলাদেশ, হরিয়ানায় জোড়া ঘূর্ণাবর্ত উত্তর প্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে বিস্তৃত। আন্দামান সাগরে নিম্নচাপ ঘূর্ণাবর্ত দুর্বল হয়ে, নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা প্রবেশ করতে পারে উত্তর-পশ্চিম ভারতের দেশগুলোতে। পাশাপাশি দক্ষিণ বঙ্গের কয়েকটি জেলার পাশপাশি মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও কলকাতায় ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। গরমে হাঁসফাঁস করতে থাকা রাজ্যবাসী, এবার ভিজবে বৃষ্টিতে। সন্ধ্যের দিকে প্রায় ৬০-৭০ কিমি বেগে ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রাতের তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তন হবে না।
ভারতের আবহাওয়া দফতর উত্তর ভারত মহাসাগর, আরব সাগর এবং ভারত মহাসাগরে ভবিষ্যতের ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের জন্য ১৩ টি দেশ কর্তৃক নির্বাচিত ১৬৯ টি ঝড়ের নাম প্রকাশ করল। নামগুলির মধ্যে গুলাব, তেজ, অগ্নি, আগ অন্যতম। ২০০৪ সালে আটটি দেশের আবহাওয়া বিভাগ দ্বারা সূচিত ঘূর্ণিঝড়ের নামের পূর্বের তালিকাটি উত্তর ভারত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগর বা আরব সাগরে আরও এই ঘূর্ণিঝড়ের পরে শেষ হয়ে যাবে। পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেওয়া হবে ‘আম্ফান’, থাইল্যান্ডের প্রস্তাবিত একটি নাম, যা ২০০৪ সালের তালিকায় শেষ।