বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ঘূর্নিঝড় আম্ফানের ফলে ক্ষতি হতে পারে প্রায় ৭ লক্ষ মানুষের ক্ষতি হতে পারে বলে জানাল ওড়িশা ( odisha) সরকার। নবীন পট্টনায়ক ( naveen paatnaik) সরকার জানিয়েছে, ওড়িশা উপকূল সংলগ্ন সাড়ে ছয়শো গ্রামের প্রায় ৭ লাখ মানুষ এই মারাত্মক ক্রান্তীয় ঘুর্ণিঝড়ের কোপে পড়তে পারে
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য মানুষের জীবন বাঁচানো। আমরা মানুষের জীবন বাঁচাতে সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাবো।’ এই নিয়ে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ১২ উপকূলবর্তী জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। ইতিমধ্যে আম্ফান মোকাবিলায় তৈরি বাংলাও৷ ইতিমধ্যেই এবিষয়ে যাবতীয় নির্দেশিকা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আজ বিকেল ৪ টেয় আম্ফান নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও অন্যান্য আধিকারিকদের বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। আম্ফান মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েই ছিল এই বৈঠক।
সময় যত এগোচ্ছে শক্তিশালি হচ্ছে ঘুর্ণিঝড় আম্ফান ( amphan)। এই মুহুর্তে দীঘা থেকে ৯০০ কিমি দক্ষিণে অবস্থান করছে ঝড়টি। আগামী ১২ ঘন্টার মধ্যেই এই পথ অতিক্রম করে ভূ ভাগে আঘাত হানার সম্ভাবনা। আগে ১৭০ কিলোমিটার এর কাছাকাছি আভ্যন্তরীণ ঘুর্নাবর্ত আশা করা হলেও শক্তি বাড়িয়ে তা ২৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় পৌঁছে যাবে মনে করা হচ্ছে
রবিবার ভারত আবহাওয়া অধিদফতর (আইএমডি) জানিয়েছে যে তীব্র ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ ওড়িশা উপকূলে আঘাত হানবে এবং বঙ্গোপসাগরে উত্তর-পশ্চিম দিকে দ্রুত অগ্রসর হবে এবং পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ (পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ) অতিক্রম করবে। বুধবার একটি ‘খুব মারাত্মক ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আয়লার মতোই দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তান্ডব চালাবে ঝড়টি। পূর্ব মেদিনীপুর দিয়ে প্রবেশ করে ঝড়টি হাওড়া, কলকাতা, উঃ ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ হয়ে বাংলাদেশের দিকে চলে যাবে।
ঘূর্ণীঝড়ের আশঙ্কায় সমদ্রে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা উপকূল এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকা থেকে মৎস্যজীবীদের বঙ্গোপসাগর এলাকায় মাছ ধরতে নিষেধ করা হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলে তো প্রবল ঝড়-বৃষ্টির পাশাপাশি দক্ষিণ এর সব জেলাতেই মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।