বাংলাহান্ট ডেস্কঃ অতিবৃষ্টিতে ভাসছে উত্তর এর ৫ জেলা। এবার দক্ষিণ এর জেলা গুলিতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দপ্তর। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও মালদা জেলায় কিছুক্ষণের মধ্যে ভারী বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
শহরের তাপমাত্রা
রবিবার সকাল থেকেই কলকাতা (Kolkata) শহরের সামান্য মেঘলা আকাশ তো আবার কখনও রোদও উঁকি দিচ্ছে। চলছে মেঘ রোদের খেলা। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল প্রায় ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। আজ শহরের তাপমাত্রা বেশ কিছুটা হলেও বাড়তে পারে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়াবিদরা। আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে।
পাশাপাশি, গত কয়েকদিনে উত্তর এর জেলা গুলিতে অতিভারী বৃষ্টি হওয়ায় ইতিমধ্যে ফুঁসছে তিস্তা সহ অন্য নদীগুলি। মরশুমের শুরু থেকেই বর্ষা যেভাবে দাপিয়ে খেলছে তাতে বন্যার ভ্রুকুটি উপেক্ষা করতে পারছে না আবহাওয়া দপ্তর। ইতিমধ্যেই হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে তিস্তা নদীতে।
ওড়িশায় ঘূর্ণাবর্ত এবং দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটাতে জলীয় বাস্প ঢুকছে রাজ্যে। তবে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টির পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গেরও বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টি চলবে সপ্তাহভোর।
পাশাপাশি, আবারো বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে আসামে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টির ফলে ইতিমধ্যেই বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্রের জল। যে কোনো মুহুর্তে দুকুল ছাপিয়ে বন্যায় ভাসাতে পারে বিস্তীর্ণ অঞ্চল।
এবার সঠিক সময়েই ঢুকেছে বর্ষা। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি। কেন্দ্রীয় জল কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের জলের গভীরতা ৪৯ মিটারের বেশী। যা বিপদসীমার থেকে ১ মিটার বেশী বলেই জানা যাচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তর ইতিমধ্যে বাংলা সহ উত্তর পূর্বের রাজ্য গুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। যার জেরে যে কোনো মুহুর্তে দুকুল ছাপিয়ে বইতে শুরু করবে ব্রহ্মপুত্র নদ, মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল