বাংলা হান্ট ডেস্ক: বৃষ্টির ভ্রুকুটি গোটা বছর ধরে মানুষ কমবেশি দেখে এসেছে এ বছরে। প্রায় প্রত্যেকটি ঋতুতেই বর্ষাকে উপভোগ করেছেন জনগণ। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত, অতপর বসন্তেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি, অর্থাৎ বসন্তেও বৃষ্টি হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছিল আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে।
প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃষ্টি হয়েছিল। তারপর মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল হাওয়া অফিস। কাজেও ঘটলো এমনটাই।গতকাল দুপুর থেকেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ সহ আরও ভারী বৃষ্টিপাত হতে চলেছে।
বৃষ্টি হয়েছে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, কালিংপং, আলিপুরদুয়ার, কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বর্ধমান, কলকাতা, হুগলি, দুই ২৪ পরগনাতে বৃষ্টি হতে পারে। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প ডুকছে বাংলায়। এর পাশাপাশি পূবালী হাওয়া এবং পশ্চিম হাওয়ার সংঘাতে তৈরি হচ্ছে বিপরীত ঘূর্ণবাত।এর ফলেই বৃষ্টিপাতের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। এর সঙ্গে বর্ষার কোন যোগসূত্র নেই।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী গতকাল দুপুর থেকেই কলকাতার নানা জায়গায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া। কলকাতার সল্টলেকে হয়েছে শিলা বৃষ্টি। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী শুক্রবার পর্যন্ত চলবে এমন বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। বিশেষ বিশেষ কোনও অঞ্চলে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে সর্তকতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ ভোর বেলায় এক পশলা বৃষ্টি হওয়ার পর থেকে কলকাতার আকাশ পরিষ্কার থাকলেও হাওয়া অফিস জানাচ্ছে ঘন্টা খানেকের মধ্যে কলকাতা শহরটা রাজ্যজুড়ে আসছে কালবৈশাখী আপনি যেখানেই থাকুন না কেন ওয়েদারে বাড়ির বাইরে বেরোলো অবশ্যই একটি ছাতা নিয়ে বের হন।