বাংলাহান্ট ডেস্কঃ জোড়া ঘূর্ণাবর্তের কারণে আবহাওয়ার (Weather) পরিবর্তিন হতেই, মঙ্গলবার রাত থেকেই শুরু হয়ে গেছে প্রবল ঝড় বৃষ্টি। রাজ্যের বিভিন্ন অংশে গতকাল গভীর রাত থেকেই শুরু হয়ে গেছে ঝড় বৃষ্টি এবং সেই সঙ্গে বজ্রপাতও। এই ঝড়ের মধ্যে পড়েছে শহর তিলোত্তমাও। বেশকিছু জায়গায় ব্যাপক ঝড় বৃষ্টি এবং সেই সঙ্গে প্রবল হাওয়া বইতে থাকে। আগামী ৮ ই মে পর্যন্ত এরকমই আবহাওয়া থাকেব বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর (Weather office)।
আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণ গত কয়েকদিন ধরেই আন্দামান সাফরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার কারণে, ভরা বৈশাখেও তাপমাত্রার পারদ সর্বাধিক রেখা ছুঁতে পারছে না। আবার ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আগমনের কারণে, বাতাসে আদ্রতা অপেক্ষা জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেক বেশি রয়েছে। যার কারণে মঙ্গল পেরিয়ে বুধবারও প্রবল ঝড় বৃষ্টিসহ কালবৈশাখী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বেশ কিছু অংশে।
শহরের তাপমাত্রা গতকাল কলকাতা শহরের সকালে তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। বুধবার তাপমাত্রার বিশেষ একটা পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে না। তাপমাত্রা থাকবে সর্বোচ্চ ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। গোটা রাজ্য জুড়েই রয়েছে ঝড়ের দাপট আর বৃষ্টির প্রভাব, জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। এর সঙ্গে অগ্রিম পাওনা হিসাবে রয়েছে বজ্রপাতও। ঘন্টায় ১৭-২০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে।
প্রবল গ্রীষ্মের মাঝে তাপমাত্রা বৃদ্ধির বদলে উল্টে কমছে
আবহাওয়াবিদরা আগেই জানিয়েছিলেন যে, এবছর গরম বাড়বে। স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে বৃদ্ধি পাবে কিছু কিছু অঞ্চলে। কিছু কিছু জায়গায় ১ ডিগ্রির থেকেও বেশি বৃদ্ধি পাবে। তবে সেভাবে এখনও তাপমাত্রা বৃদ্ধির আবহাওয়া পাওয়া যায়নি। তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেলেই, তা নিম্নচাপের কারণে পারদ নিম্নগামী হচ্ছে। এরই মধ্যে ভারতের আবহাওয়া দফতর উত্তর ভারত মহাসাগর, আরব সাগর এবং ভারত মহাসাগরে ভবিষ্যতের ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের জন্য ১৩ টি দেশ কর্তৃক নির্বাচিত ১৬৯ টি ঝড়ের নাম প্রকাশ করেছে। তার মধ্যে গুলাব, তেজ, অগ্নি, আগ অন্যতম।