বাংলাহান্ট ডেস্কঃ উত্তর ভারতে আবারও বদল আবহাওয়ার । পাহাড়ে শুরু হওয়া তুষারপাত, বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি সমতল অবধি অব্যাহত ছিল। দিল্লি-এনসিআর-এ গতকাল গভীর রাত অবধি বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। বৃষ্টির পরে দিল্লি-এনসিআর এ কমেছে তাপমাত্রা। দিল্লিতে সর্বোচ্চ 37.3 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, সর্বনিম্ন 22.7 ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর্দ্রতা 36 থেকে 58 শতাংশের মধ্যে ।
পাশাপাশি, মঙ্গলবার উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গে কালবৈশাখীর প্রবল সম্ভাবনা। বইতে পারে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হওয়া। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে রাজ্যজুড়ে, উত্তরের জেলাগুলিতে আরো ৩ দিন টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহবৃষ্টির পূর্বাভাস পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে ঝড় হতে পারে ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে। আগামী ২-৩ দিন রাতের তাপমাত্রার কোনও পরিবর্তন হবে না। তবে ভারী বা অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই৷ নেই কোনো নিম্নচাপ বা পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব। হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে গোটা উত্তর বাংলাতেই
গতকাল শহর কলকাতার (Kolkata) তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৩৫ ডিগ্রির আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। তবে আজ শহরের তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তন হবে না। প্রায় একই থাকবে তাপমাত্রা। তবে রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় বজ্র ঝড় সহ বৃষ্টির আশঙ্কা করছে হাওয়া অফিস। এমনকি হতে পারে কালবৈশাখিও। এর পাশাপাশি আবার ঘন্টায় ২৬-২৮ কিমি বেগে দমকা বাতাস বইতে পারে।
পাশাপাশি, মৌসম ভবন জানিয়েছে, এবারে বর্ষা ঢুকবে সঠিক সময়ে। দক্ষিণ -পশিম মোয়সুমি বায়ুর প্রভাবে এবছর বর্ষা জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বর্ষার আগমন ঘটবে। স্বাভাবিক সময়েই হবে এই বৃষ্টি। এতে করে কৃষি কাজেও খুব একটা সমস্যা সৃষ্টি হবে না। কৃষকদের জন্যও এল সুখবর। এর পাশাপাশি জুনের প্রথমেই কেরালায় বর্ষা প্রবেশ করবে। এবং তারপর তা পানজিম, পুনে ও মুম্বই হয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করবে।