বাংলা হান্ট ডেস্ক: ওজন বেড়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়ে সকলেই। তবে ডায়েট ঠিকঠাক ভাবে মেনে চললে ওজন ঝড়ানো (Weight Loss) সম্ভব। পুষ্টিবিদদের মতে নিয়মিত পিনাট বাটার খেয়ে মেদ ঝরিয়ে ফেলা সম্ভব। ভাবছেন কি ভাবে সম্ভব! পুষ্টিবিদদের মতে পিনাট বাটার (Peanut Butter) ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। কারন এতে রয়েছে ট্রিপটোফান নামের উপাদান। যা মূলত ক্যালোরি ঝরাতে সাহায্য করে। তবে পিনাট বাটারে ক্যালোরির মাত্রা বেশি থাকে। তাই ওজন ঝরানোর ডায়েটে এই মাখন রাখতে হলে পরিমাণের বিষয় সতর্ক থাকতে হবে।
ওজন ঝরানোর ডায়েটেও রাখতে পারেন মাখন (Weight Loss)
ওজন কমানোর জন্য কম খাটনি করে না মানুষজন। অনেক সময় কড়া ডায়েট করেন। আবার শরীর চর্চাও করে থাকেন। কিন্তু ফল মেলেনা সেইরকম। এছাড়াও, ওজন কমানোর জন্য অনেকে সাপ্লিমেন্ট খেয়ে থাকেন। তবে এই সাপ্লিমেন্ট শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। এ বিষয়ে পুষ্টিবিদরা বলেছেন পিনাট বাটার (Peanut Butter) ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু কিভাবে সম্ভব, জানুন বিশদে।
১) পিনাট বাটারে রয়েছে নুন। আর নুন ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে বেশি মাত্রায় নুন শরীরে গেলে শরীরে জলের মাত্রা বাড়তে থাকে। এর ফলে বেড়ে যায় ওজন। তাই পিনাট বাটার খাওয়ার সময় সামান্য চিনি মিশিয়ে খাওয়া ভালো।
২) পিনাট বাটার স্বাস্থ্যকর বলে আইসক্রিম বা চকলেট জাতীয় খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাবেন না। এতে খাবারটি সুস্বাদু হলেও আখরে শরীরের ক্ষতি হবে।
আরও পড়ুন: শুধু খাবারের স্বাদবৃদ্ধি নয়, চুলও ভালো রাখে রান্নার এই বিশেষ উপকরণটি! জানুন টোটকা
রোজের খাদ্য তালিকায় কিভাবে পিনাট বাটারকে রাখবেন?
১) কলার সঙ্গে পিনাট বাটার খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। কলার মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম। আর পিনাট বাটারে (Peanut Butter) রয়েছে ট্রিপটোফান। ট্রিপটোফান সঙ্গে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম মিশে আরও দ্রুত ওজন কমাতে (Weight Loss) পারে।
২) হোল গ্ৰেন পাউরুটি টোস্টের সঙ্গে পিনাট বাটার খেতে পারেন।
৩) অফিসে বসে বিকেল বেলায় আপেলের সঙ্গে পিনাট বাটার খান। একটি খেতে যেমন সুস্বাদ স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য। কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনারা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)