সবে শেষ হয়েছে DA মামলার শুনানি, এরই মধ্যে বড় আপডেট সামনে, কী আছে সরকারি কর্মীদের ভাগ্যে?

Published on:

Published on:

dearness allowance(39)

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) শেষ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলার শুনানি (Dearness Allowance)। বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের বিশেষ বেঞ্চে ডিএ মামলার শুনানি হয়েছে। এবার বকেয়া DA মামলার অর্ডার কপি সামনে এল।

বকেয়া DA মামলার অর্ডার কপি সামনে | Dearness Allowance

অর্ডার কপি অনুযায়ী, ডিএ মামলার শুনানি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং মামলাটি বর্তমানে রায়ের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্য লিখিত বক্তব্য জানালে কর্মচারী সংগঠনগুলো এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের জবাব দাখিল করবে। এই গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হবে।

উল্লেখ্য, চূড়ান্ত শুনানির আগে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল একটি ৬২ পাতার লিখিত যুক্তি শীর্ষ আদালতে জমা দিয়েছিলেন। যেখানে রাজ্যের যুক্তি ছিল, ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো অনুযায়ী, কোনও রাজ্যের সরকার কেন্দ্রীয় হারে ডিএ প্রদান করতে আইনত বা সাংবিধানিকভাবে বাধ্য নয়। কলকাতা হাইকোর্ট বা ট্রাইব্যুনালও রাজ্যকে কেন্দ্রীয় সরকারের ফর্মুলা অনুযায়ী ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয়নি বলে উল্লেখ করা হয় যুক্তিতে।

পাশাপাশি আরও বলা হয়, দেশের প্রায় অর্ধেক রাজ্যই কেন্দ্রীয় হারে ডিএ প্রদান করে না। এই অবস্থায় শীর্ষ আদালত কেন্দ্রীয় হারে ডিএ প্রদান করার নির্দেশ দিলে তার প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি সেই বাকি রাজ্যগুলোর ওপরেও পড়বে।

dearness allowance (8)

আরও পড়ুন: মাথার উপর ঘূর্ণাবর্ত! শনিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি ৪ জেলায়, কতদিন চলবে দুর্যোগ?

এবার চূড়ান্ত শুনানির পর দুই সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারকে লিখিত আকারে তাঁদের বক্তব্য সুপ্রিম কোর্টে জানাতে হবে। তার এক সপ্তাহের মধ্যে মামলাকারীরা রাজ্যের জবাবের প্রেক্ষিতে তাদের বক্তব্য জানাবেন। তার তিন সপ্তাহ পর লিখিত জবাব দেখবে আদালত। তারপর ডিএ মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা। মনে করা হচ্ছে অক্টোবরের শুরুতেই রায়দান করতে পারে সুপ্রিম কোর্ট। দীপাবলির পরে রায়দানের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।