ঘুরে গেল মোড়! বকেয়া DA নিয়ে সরকারি কর্মীদের মাস্টারস্ট্রোক, চরম চাপে পশ্চিমবঙ্গ সরকার

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় হারে ডিএ (Dearness Allowance) ইস্যুতে বহুদিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা (State Government Workers)। হাইকোর্ট পেরিয়ে এখন মামলা গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। তবে সর্বোচ্চ আদালতে বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে ডিএ মামলার শুনানি। যা নিয়ে কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তবে এবার মমতা সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে মোক্ষম চাল চালতে চলেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।

লোকসভা ভোটের আগে মাঝে দু’বার মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করেছে রাজ্য সরকার। বর্তমানে ১৪% করে ডিএ পাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তবে তাতে খুশি নন অধিকাংশই। তাদের চাই কেন্দ্রীয় হারে ডিএ। এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে, এবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বর্ষাকালীন অধিবেশনে ডিএ ইস্যু নিয়ে সরব হওয়ার আবেদন জানিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে চিঠি লিখল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।

প্রসঙ্গত, বিগত প্রায় দেড়বছর ধরে কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন সরকারি কর্মীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আগে একাধিকবার তাদের আন্দোলনকে সরাসরি সমর্থন করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সভাতেও গিয়েছেন। অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদেরও দেখা গিয়েছে। তবে এবার সরাসরি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের দাবি জানাল যৌথ মঞ্চ।

ডিএ ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে চাপে ফেলতে এবার সরাসরি এক বিরোধী দলনেতার দ্বারস্থ হল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। শুভেন্দু অধিকারীকে লেখা চিঠিতে সরকারি কর্মীরা জানিয়েছেন, বিধানসভায় যেন ৪০ শতাংশ ‘বকেয়া ডিএ’ মেটানোর দাবি তোলা হয়। পাশাপাশি ডিএ নিয়ে আন্দোলন করার জেরে তাদের উপর সরকার যে সব পদক্ষেপ করেছে, তা প্রত্যাহারের জন্য যেন রাজ্যের ওপরে চাপ সৃষ্টি করা হয়।

da hike

আরও পড়ুন: ঘন ঘন পড়বে বাজ! কয়েক ঘণ্টায় ঝোড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলায়

আরও দাবি জানানো হয়েছে, পঞ্চম বেতন কমিশনের বকেয়া ডিএ মামলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার সুপ্রিম কোর্টে যে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেছে, তা যাতে তুলে নেওয়া হয় এই জন্যে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হোক। আগে ডিএ আন্দোলনকারীদের সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন শুভেন্দু। এবার তারই দ্বারস্থ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর