৩৫৬ নয়, পশ্চিমবঙ্গে এই বিশেষ ধারা লাগু করার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন অধীর চৌধুরীর

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আজই রামপুরহাটে যাচ্ছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তার আগেই বিমানবন্দর থেকেই রাজ্যের প্রতি ক্ষোভ উগরে ৩৫৫ ধারার প্রসঙ্গ টানলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ,’ পশ্চিমবঙ্গে কোনও নিরাপত্তাই নেই সাধারণ মানুষের। প্রতিদিনই রাজনৈতিক হত্যার শিকার হতে হচ্ছে কাউকে না কাউকেই।’

বুধবার রাতেই কলকাতা পৌঁছান অধীর রঞ্জন চৌধুরী। আজই রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে যাচ্ছেন তিনি। রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারি করার আবেদন জানিয়ে রাষ্ট্রপতিকে আগেই চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। এবার বিমানবন্দর থেকেই সরাসরি রাজ্যকে বিঁধে এক হাত নিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা। এদিন ৩৫৫ ধারার ব্যাখ্যাও দিতে দেখা যায় তাঁকে।

কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘৩৫৫ ধারা কী? ভারতের সংবিধানে বলা হয়েছে একটা রাজ্যকে কেন্দ্র নির্দেশ দেবে, সেই রাজ্য যেন সংবিধানে থাকা দায় দায়িত্ব পালন করে। সেই রাজ্য যেন রাজ্যের মানুষকে রক্ষা করে। প্রতিটি রাজ্যকে বাইরের আগ্রাসন এবং আভ্যন্তরীণ গোলযোগ থেকে রক্ষা করা কেন্দ্রের দায়িত্ব। প্রতিটি রাজ্য যাতে সাংবিধান মেনে চলে তা নিশ্চিত করা কেন্দ্রের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।’

গতকাল রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে লেখা চিঠিতে রাজ্যের ব্যাপারে একাধিক অভিযোগ এনেছেন তিনি। তিনি লেখেন, ‘রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থা সম্পুর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে। শুধু গত মাসেই রাজ্যে ২৬টি রাজনৈতিক খুন হয়েছে। নির্বাচনী অশান্তি ও ভোট পরবর্তী অশান্তি বহু প্রাণ কেড়েছে।’

উল্লেখ্য, গতকালই মুখ্যমন্ত্রীকেও একহাত নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা। বলেন, ‘সাপুড়ের মৃত্যু হয় সাপের কামড়েই। যে বিষধর সাপ নিয়ে খেলেছেন, সেই বিষধর সাপের কামড়েই তৃণমূল ধ্বংস হবে। সিট বাংলায় তৃণমূলের সন্ত্রাসকে স্তম্ভ করে দেওয়া একটি সংস্থার নাম। পশ্চিমবঙ্গ খুনিদের রাজ্যে পরিণত হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী আর কতজনের রক্ত নেবেন?’ এবার এদিন রামপুরহাটে গিয়ে কী হুঙ্কার ছাড়েন তিনি সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্য।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর