বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চতুর্থ দফার ভোটে মারাত্মক উত্তপ্ত হয়ে উঠল মাথাভাঙ্গা (mathabhanga) এলাকা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর (crpf) গুলিতে প্রাণ হারাল শীতলকুচি বিধানসভার অন্তর্গত মাথাভাঙ্গার জোড়পাটকির ৪ জন ব্যক্তি। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
শনিবার সকাল থেকেই দফায় দফায় রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে শীতলকুচি। শীতলকুচির পাগলাপীরে গুলি চালানো, এমনকি তৃণমূল কর্মীকে ধারালো অস্ত্রের কোপ দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। এবার কমিশনের তরফ থেকে জানানো হল- কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতেই সেখানে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের মাথাভাঙ্গা ১ নং ব্লকের ওই এলাকায় সকাল থেকেই নানারকম অশান্তি হতে থাকে। এরপর বুথে গণ্ডগোলের খবর পেয়ে সকাল দশটা নাগাদ সেখানে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছায়। সেখানে তাঁরা পৌঁছাতেই প্রায় ৪০০- ৫০০ জন তাদের ঘরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।
পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরোতেই তাঁরা গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই ৪ জন প্রাণ হারান এবং স্থানীয়দের দাবী, আহত হয়েছেন আরও অনেক। এরপর সবকিছু ঠাণ্ডা হয়ে যায়। তবে এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ছোঁড়া গুলিতেই যে ৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন, একটা স্বীকার করেছে নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে মৃতদের নাম হামিদুল হক, হামিনুল হক, মনিরুল হক, নূর আলম।
উল্লেখ্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারের শীতলকুচির সভা থেকে গ্রামের মহিলাদের পরামর্শ দিয়েছিলেন যে, সিআরপিএফ যদি গণ্ডগোল করতে আসে, তাহলে তাঁদের ঘিরে ফেলে ভোট দিতে যান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বয়ানের ফলে নির্বাচন কমিশন ওনাকে শোকজও করেছিল। এখন প্রশ্ন উঠছে যে, তৃণমূল নেত্রীর সেই পরামর্শ মেনেই কি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ফেলা হয়েছিল মাথাভাঙ্গায়?