বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিধানসভায় (West Bengal Assembly) হাজিরা দেওয়া হচ্ছে নিয়মিত। কিন্তু মানুষের সমস্যার কথা কি ঠিকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে? এই প্রশ্ন ঘিরেই এখন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে শুরু হয়েছে আলোচনা। আরটিআই করে পাওয়া তথ্য দেখে দলের মধ্যেই শুরু হয়েছে বিধায়কদের কাজের হিসেব।
বিধানসভায় (West Bengal Assembly) প্রশ্ন না করার বিধায়কদের তালিকা তৈরি
বিধানসভায় (West Bengal Assembly) কোন বিধায়ক কতদিন অধিবেশনে হাজির ছিলেন, কতবার প্রশ্ন করেছেন আর কতবার আলোচনায় অংশ নিয়েছেন এই তথ্য জানতে আরটিআই করা হয়েছে বিধানসভার সচিবালয়ে। সেই তথ্য সামনে আসার পরেই তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে শুরু হয়েছে মূল্যায়ন। দলীয় সূত্রের খবর, গত পাঁচ বছরে ৫০ জনেরও বেশি তৃণমূল বিধায়ক এমন রয়েছেন, যাঁরা একদিনের জন্যও বিধানসভায় কোনও প্রশ্ন করেননি বা আলোচনায় অংশ নেননি। অর্থাৎ অধিবেশনে হাজিরা থাকলেও তাঁরা কার্যত চুপ করেই ছিলেন।
এই তালিকায় রয়েছেন পরিচিত রাজনৈতিক মুখও। এমনকি কিছু ‘তারকা’ বিধায়কের নামও উঠে এসেছে, যাঁদের টিভি বিতর্কে দেখা গেলেও বিধানসভায় (West Bengal Assembly) কথা বলতে দেখা যায়নি। উল্লেখ্য, জানুয়ারি থেকেই বিধানসভা (West Bengal Assembly) নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হতে চলেছে। একই সঙ্গে রাজ্যজুড়ে চলছে এসআইআর (SIR in West Bengal) প্রক্রিয়া। এই কাজের দায়িত্ব বিধায়ক এবং জনপ্রতিনিধিদের উপরেই দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে (Netaji Indoor Stadium) দলের সাংগঠনিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বার্তা দেন। তিনি জানান, এখন বেড়াতে যাওয়ার সময় নয়। মানুষের পাশে থাকাই সবচেয়ে জরুরি। ‘ছাব্বিশ জিতলে পিকনিক হবে’, এই কথার মধ্যেও ছিল কাজের কড়া বার্তা। দলীয় সূত্র জানাচ্ছে, বিধানসভায় (West Bengal Assembly) হাজিরার হার, গুরুত্বপূর্ণ বিল ও আলোচনায় অংশগ্রহণ, মানুষের সমস্যা তুলে ধরা, এই সব বিষয় দেখেই এখন বিধায়কদের কাজের হিসেব করা হচ্ছে।
তবে সব বিধায়কের ছবি একরকম নয়। রিপোর্টে এমনও দেখা গিয়েছে, উপনির্বাচনে জিতে আসা এক চিত্রতারকা বিধায়ক অল্প সময়ের মধ্যেই প্রশ্ন তুলে এবং আলোচনায় অংশ নিয়ে ভালো নজির তৈরি করেছেন।

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশ ইস্যুতে নতুন কর্মসূচি, সাধুসন্তদের সঙ্গে দূতাবাসে মিটিং শুভেন্দুর
প্রসঙ্গত, বিধানসভার (West Bengal Assembly) প্রতিটি অধিবেশনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন, শুধু হাজিরা দিলেই হবে না। বিধানসভা মানুষের কথা বলার জায়গা। কিন্তু সেই নির্দেশের পরেও যাঁরা পাঁচ বছরে একবারও কথা বলেননি, তাঁদের নাম আলাদা করে তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে বলেই দলীয় সূত্রে খবর। পাঁচ বছরের মেয়াদ প্রায় শেষ। তাই দলের অন্দরমহলে এখন প্রশ্ন উঠছে বিধানসভায় আর কতদিন নীরব থাকবেন জনপ্রতিনিধিরা?












