বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শনিবার সন্ধ্যায় ক্যালকাটা ক্লাবে সংবিধান সংক্রান্ত একটি বিতর্কসভায় অংশ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়েই কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত তৃণমূল সুপ্রিমো। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করে গণতন্ত্রকে গুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ শোনা গেল মমতার গলায়। দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে মোদী সরকার। মানুষের খাওয়া, পড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার মত গণতান্ত্রিক অধিকার পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। সবই একজন ঠিক করে দিচ্ছে। বিজেপি সরকারকে (BJP Government) জোড়ালো আক্রমণ মমতার।
মমতার কথায়, এই ‘হিটলারতন্ত্র’, ‘স্ট্যালিনতন্ত্রের’ একদিন অবসান ঘটবেই। ‘ডান্ডা চালাচ্ছে। ন্যায় সংহিতা না কী করেছে! আমরা সকল জাতিকে ভালোবাসি। আমি তো সাতবারের এমপি। মোদী সরকারকে তুলোধোনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সংবিধান এখন এজেন্সি চালাচ্ছে। চারিদিকে ভয়ঙ্কর ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি করা হয়েছে। কেউ বললেই তো বাড়িতে ইডি চলে আসছে।
এদিন মিডিয়ার ভূমিকা নিয়েও তীব্র কটাক্ষ করেন মমতা। বলেন, ‘মুডি মিডিয়া। ইডি আসছে মিডিয়াকে নিয়ে। একটা নির্দিষ্ট পার্টি মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করছে। মিডিয়া কেন সত্যিটা দেখায় না? কেন শাসকপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করে?’ এরপর পুরোনো কথা মনে করে মমতা বলেন, ‘সারাজীবন অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। সরকারে আসার পরেও আমি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। সত্যিই জানি না এর সমাপ্তি কোথায়! ‘
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম না করেই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত তাকে তুলোধনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা এও বলেন, ‘ আমি অনেক প্রধানমন্ত্রীকে দেখেছি। রাজীব গান্ধীকে, মনমোহন সিং, নরসিমহা রাওয়ের মত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করেছি। কিন্তু এমন কিউট, এমন সুইট প্রধানমন্ত্রীকে আগে দেখিনি। আমি সুইট, কিউট বলছি। কিন্তু একবারও বাজে শব্দ বলিনি।”
আরও পড়ুন: হার্টে ৫০ শতাংশ ব্লকেজ, কিডনিতেও সমস্যা, বিচারকের কাছে চিকিৎসার জন্য কাতর আর্জি শঙ্করের
কেন্দ্রকে তোপ দেগে মমতা আরও বলেন, ‘ইডি-সিবিআই তো আগে ছিলই। এখন আবার তাদের ছোট ভাই ক্যাগ এসেছে। এটা আর সহ্য করা যাচ্ছে না। আমাদের আরও লড়াই করতে হবে। ত্যাগ আরও বেশি করতে হবে। লড়াই চালিয়ে যেতেই হবে। নিশ্চয়ই একদিন এই স্বৈরাচার শেষ হবে। হিটলারি ব্যবস্থার একদিন অবসান ঘটবে।’ যদিও নিজের বক্তব্যে মমতা বারবার বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে আমার কোনও রোষ নেই। আমি তাকে সম্মান করি তার চেয়ারের জন্য।”