বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিহারে শুরু হয়েছে ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় সমীক্ষা (SIR)। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার জানিয়ে দিল, এই মুহূর্তে রাজ্য এ ধরনের সমীক্ষার জন্য প্রস্তুত নয়। এই নিয়ে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের কাছে রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট করে চিঠি পাঠালেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সেই সঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই কেন নির্বাচন কমিশনের রাজ্য দপ্তর (সিইও) এমন প্রস্তাব পাঠাল কমিশনে?
মুখ্যসচিবের চিঠি: এখনই নয় SIR
৮ অগস্ট, শুক্রবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিককে পাঠানো চিঠিতে মুখ্যসচিব লিখেছেন, বাংলায় SIR কার্যকর করতে হলে কমপক্ষে দু’বছরের সময় প্রয়োজন। তাঁর মতে, এখনই রাজ্যে এই পরিমার্জনের পরিবেশ তৈরি হয়নি। পাশাপাশি, নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে তিনি বলেছেন, এভাবে হঠাৎ করে নিবিড় সমীক্ষা চালানো যুক্তিযুক্ত নয়। এই চিঠিতে রাজ্যের স্পষ্ট বার্তা, এখনই SIR চালানো সম্ভব নয়।
কমিশনের সঙ্গে সংঘাত, রাজনীতি উত্তপ্ত
এর আগে সিইও নিজেই কমিশনকে জানিয়ে ছিলেন যে, বাংলা SIR-এর জন্য প্রস্তুত। সেই প্রেক্ষিতেই রাজ্য সরকার সজোরে অবস্থান বদল করল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মুখ্যসচিবের চিঠিকে কার্যত সেই দাবির বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ বলে ধরা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক উত্তেজনা তীব্র হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেছেন, “SIR হলে রোহিঙ্গাদের নাম ফাঁস হয়ে যাবে। তাই রাজ্য সরকার যেকোনও মূল্যে তা আটকাতে মরিয়া। কারণ এই সরকারই রোহিঙ্গাদের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে।”
তৃণমূলের পাল্টা সুর
অন্যদিকে, তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তীর বক্তব্য, “SIR নিয়ে এই মুহূর্তে যা চলছে তা প্রহসন। রাহুল গান্ধি ভোট চুরির তথ্য ফাঁস করেছেন। আগে সেসবের উত্তর দিক নির্বাচন কমিশন।” তাঁর দাবি, বিজেপি ও কমিশনের মধ্যে সমঝোতা চলছে।
আরও পড়ুনঃ ভুয়ো পাসপোর্ট নিয়ে জার্মানি যাওয়ার চেষ্টা, কলকাতা বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার বাংলাদেশী ‘শ্রমিক’
SIR নিয়ে রাজ্য ও নির্বাচন কমিশনের সংঘাত আরও তীব্র হচ্ছে। একদিকে রাজ্য বলছে, এখনও সময় আসেনি। অন্যদিকে কমিশনের দাবি, SIR জরুরি। এই টানাপোড়েনের মাঝে রাজনৈতিক তরজা আরও বেড়ে গিয়েছে। আগামী দিনে এই বিতর্ক রাজ্য-কমিশন সম্পর্ককে কোন দিকে নিয়ে যায়, এখন সেই দিকেই নজর সবার।