বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোট পরবর্তী হিংসা (post poll violence) নিয়ে এমনিতেই এখন যথেষ্ট বেকায়দায় রাজ্য সরকার। বিশেষত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (NHRC) রিপোর্ট সামনে আসার পর যেভাবে সমালোচিত হয়েছে রাজ্য সরকার (west bengal government) এবং রাজ্য পুলিশ (West Bengal police), তা যথেষ্ট অস্বস্তি বাড়িয়েছে। যদিও রিপোর্ট সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছে তৃণমূল। এমনকি প্রাক্তন বিজেপি নেতার মানবধিকার কমিশনে থাকাকেও কটাক্ষের সুরে বিঁধেছে তারা।
তবে আজ ফের একবার আদালতে অস্বস্তি বাড়ল রাজ্য সরকারের। আদালত পরিষ্কার জানিয়েছে, আগামী ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে অবশ্যই হলফনামা জমা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৮ তারিখ। কার্যত আজও রাজ্য সরকারকে একহাত নেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আইনজীবী। আবেদনকারীর আইনজীবীরাও অভিযোগ করেছেন, এখনও রাজ্যে চলছে ভোট-পরবর্তী হিংসা।
ভোটের ফল প্রকাশের পরের দিনই মৃত্যু হয়েছিল অভিজিৎ সরকার নামক এক বিজেপি কর্মীর। আজ আদালতে ফের একবার উঠে আসে সেই প্রসঙ্গ। পরিবার ওই কর্মীর দেহ সনাক্ত করতে পারিনি। দু’বার ময়না তদন্ত করার পরেও দেহ সনাক্ত করা যায়নি। এক্ষেত্রে ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। পরিবারের সন্দেহ সেক্ষেত্রেও প্রতারণা করেছে পুলিশ। অন্য কারও দেহ ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আজ আদালত এই পরীক্ষার ভিডিওগ্রাফি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আইনজীবির মতে, এখনও খুন হচ্ছেন মানুষ, জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে ঘরবাড়ি, একাধিক কর্মীকে ঘরছাড়া করা হচ্ছে, কিন্তু পুলিশ কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকায়। এমনকি আদালতের নির্দেশের পরেও একাধিক ক্ষেত্রে মামলা গ্রহণ করা হচ্ছে না। মহিলাদের ওপর শারীরিক অত্যাচার হচ্ছে, কিন্তু তারা যখন অভিযোগ জানাতে থানায় যাচ্ছেন কোনও কথাই শোনা হচ্ছে না তাদের। রাজ্য সরকার বারবার ভোট-পরবর্তী হিংসার রিপোর্টকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও কার্যত আদালতে যে অস্বস্তি বাড়ছে এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।