‘আপনারা যে কোনও পরিমাণ DA দিতে পারেন..,’ রাজ্য সরকারকে বলে দিল সুপ্রিম কোর্ট, পরবর্তী শুনানি কবে?

Published on:

Published on:

dearness allowance (3)

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মঙ্গলে ডিএ (Dearness Allowance) মামলার সুপ্রিম শুনানিতে ঝোড়ো সওয়াল করলেন রাজ্য সরকারের দুই আইনজীবী। রাজ্যের তরফে আইনজীবী ছিলেন শ্যাম দিওয়ান ও কপিল সিব্বল। এদিন বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চে রাজ্য সরকার তরফে ফের জানানো হল বকেয়া ডিএ-র অংশ মেটাতে যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন, তা জোগাড় করতে ব্যর্থ রাজ্য সরকার।

ডিএ মামলায় ঝোড়ো সওয়াল রাজ্যের দুই কৌশলীর | Dearness Allowance

DA কী মৌলিক অধিকার? এই নিয়ে চলেছে লম্বা সওয়াল-জবাব। সরকারি কর্মীদের আইনজীবীর সওয়াল, ডিএ সরকারি কর্মীদের আইনি অধিকার। পাল্টা আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, মহার্ঘ ভাতা কোনওমূল্যেই মৌলিক অধিকার বলা যায় না। কর্মচারীদের ডিএ মৌলিক অধিকারের আইনি স্বীকৃতি নেই বলে আদালতে জানায় রাজ্য।

এদিন তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বলকে বিচারপতি করোল বলেন, “আপনারা যে কোনও পরিমাণ DA দিতে পারেন। কিন্তু প্লিজ দিয়ে দিন। আপনার ক্লায়েন্টকে (রাজ্য সরকার) বলুন।” এদিন শুনানি চলাকালীন সিব্বল বলেন, “ডিএ দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ‍্যের আর্থিক অবস্থার দিকেও নজর রাখতে হবে। কোভিড হয়েছে। এখনও মনরেগার টাকা দেয়নি কেন্দ্র। সেই টাকা রাজ্য সরকারকে দিতে হয়।”

এদিন রাজ্যের আর্থিক অবস্থার প্রসঙ্গ তুলে সিব্বল বলেন, “রাজ‍্য কোথা থেকে টাকা দেবে? রাজ‍্যকে ধার নিতে হবে। রিজার্ভ ব‍্যাঙ্কের কাছে যেতে হলে ব্যাঙ্ক আমাদের ঋণ পাওয়ার ক্ষমতা দেখে আমাদের ঋণ দেবে। বিধানসভায় অ‍্যাপ্রোপ্রিয়েশন বিল আনতে হবে। তারপর টাকা দেওয়া হবে।” গোটা প্রক্রিয়া যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ বলে আদালতে জানান আইনজীবী।

সিব্বলের কথায়, কেন্দ্রীয় ইনডেক্স মেনে টাকা দিতে হবে একথা ট্রাইবুনাল বলে দিতে পারে না। বিচারপতি বলেন, “এই মামলায় দেওয়া রায় দেশের সমস্ত রাজ্যকে প্রভাবিত করবে। যুক্তরাষ্ট্রের কাঠামোর ক্ষেত্রে এই রায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।” গতকালও পর্যবেক্ষণে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, ‘DA মামলার রায়ের প্রভাব গোটা দেশব্যাপী পড়বে।’

dearness allowance(9)

আরও পড়ুন: Z ক্যাটাগরি নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও হামলা! মুখ্যসচিব-ডিজিপি-CP-র কাছে কৈফিয়ত চেয়ে চিঠি শুভেন্দুর

বিচারপতি মিশ্র বলেন, “যে রাজ্যগুলি যে ফর্মুলা কেন্দ্রীয় সরকার মেনে চলে, তা মানে না, তাদেরকে প্রভাবিত করতে পারে।” কপিল সিব্বল ফের বলেন, রাজ্য সরকারকে কেউ ঋণ নিতে বাধ্য করতে পারে না। আগামীকাল বুধবার ফের এই মামলার শুনানি। আগামীকাল সরকারি কর্মচারীদের আইনজীবী সওয়াল করবেন। কালকের দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।