বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বহুমাস থেকে ডিএ ইস্যুতে শোরগোল রাজ্যে। কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা (State Government Employees)। তবে হয়নি সুরাহা। কর্মীদের দাবি মানতে নারাজ মমতা সরকার। যা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এরই মধ্যে এবার জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড বা জিপিএফ নিয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকারের অর্থ দফতর (West Bengal Finance Department)।
জানিয়ে রাখি, রাজ্য সরকারের জারি করা সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, এবার থেকে জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে পাঁচ লক্ষ টাকার থেকে বেশি অর্থ কোনো রাজ্য সরকারি কর্মচারী জমা করতে পারবেন না। উল্লেখ্য, জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা গচ্ছিত রাখলে তার ওপর ৮ শতাংশ হারে সুদ দেয় রাজ্য সরকার। যা অন্যান্য ব্যাঙ্ক বা প্রতিষ্ঠানের চাইতে অনেকটাই বেশি।
নিয়ম অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকারের অধীনস্ত কর্মচারীরা জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডে নিজেদের বেসিক বেতনের ৬ শতাংশ পর্যন্ত টাকা রাখার সুবিধা পান। তবে অভিযোগ উঠছে অধিক সুদের লোভে বহু কর্মচারীই নিয়ম ভেঙে অতিরিক্ত টাকা গচ্ছিত রাখছে নিজেদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে। যার জেরে বাড়তি সুদ গুনতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকেই।
এহেন পরিস্থিতিতে কারচুপি দূর করতে কড়া হাতে ব্যবস্থা নিল রাজ্য সরকার। নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেওয়া হল, এবার থেকে ৫ লাখ টাকার বেশি কোনো কর্মী জমা করতে পারবেন না নিজেদের জিপিএফ-এ অ্যাকান্টে। সরকারি কর্মীদের কিছু অংশের অসৎ উপায়ে অর্থ উপার্জন এবার থেকে বন্ধ করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হেভিওয়েট তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ! মামলা গেল কলকাতা হাইকোর্টে
ব্যাঙ্ক সুদের চাইতে জিপিএফ-এ অ্যাকান্টে টাকা রাখলে সুদের পরিমাণ সাধারণ ব্যাঙ্কের থেকে অনেকটাই বেশি। সেই কারণে বহু সরকারি কর্মীরা জিপিএফ-এ টাকা রাখেন। এবার সেই টাকা রাখার সর্বোচ্চ সীমাই বেঁধে দিল সরকার। যাতে কোনও অতিরিক্ত সুদ গুণতে না হয়।