বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আবারও সময় মতো রিপোর্ট জমা দিতে পারল না রাজ্য। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) রিপোর্ট জমা দিতে আরও একবার ব্যর্থ হওয়ার পর এদিন আদালতে আরও ২ সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়েছে। রাজ্যের সেই আর্জিতে সম্মতি জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য রাজ্যকে আগেও আড়াই মাস সময় দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আবার ব্যর্থ রাজ্য
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের বাস্তবায়ন চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। ওই মামলায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল আদালত। কিন্তু নিৰ্দিষ্ট সময় পেরেই গেলেও রিপোর্ট জমা দিতে পারেনি তারা। আজ আদালতে মামলা চলাকালীন রাজ্যের তরফে অতিরিক্ত আরও সময় চাওয়া হয়। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন প্রধান বিচারপতি। প্রসঙ্গত ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের জন্য এই নিয়ে মোট তিন মাস সময় পেল রাজ্য।
প্রসঙ্গত প্রতিশ্রুতি মতোই চলতি বাজেটে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এদিন আদালতে সে কথা জানিয়েছেন সরকার পক্ষের আইনজীবী। উল্লেখ্য আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ মেনে গত ২ জানুয়ারি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে রিপোর্ট পেশ করেছিল রাজ্য। কিন্তু ওই রিপোর্ট দেখে অসন্তুষ্ট হন প্রধান বিচারপতি। ভরা এজলাসে রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ‘আগামী বর্ষার আগে কিছু তো করুন। এখনই শুরু না করলে তো কিছুই করতে পারবেন না।’
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে জবাব দিল SSC! হলফনামায় ‘দাড়িভিট’ প্রসঙ্গ, ২৬০০০ চাকরি বাতিল মামলায় বড় আপডেট
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সেসময় জানতে চেয়েছিলেন, ‘এই কাজ করতে আপনাদের অনেক কাজ করতে হবে। যন্ত্র কোথায় বসানো হবে? কত জনকে পুনর্বাসন দিতে হবে? এমনকি এলাকা দখল মুক্ত করার সমস্ত তথ্য কোথায়?’ একইসাথে তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ‘প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ ভাল’।
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে পশ্চিম মেদিনীপুরের আরও তিনটি ব্লক যুক্ত হয়েছে। বুধবার বিধানসভায় এই প্রকল্পে কেশপুর এবং চন্দ্রকোনা ১ ও ২ ব্লককে যুক্ত করার কথা জানিয়েছেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। এছাড়া ঘাটাল পুরসভা, ঘাটাল গ্রামীণ, দাসপুর ১ ও ২, ডেবরা, তমলুক-১, পাঁশকুড়া পশ্চিম,পাঁশকুড়া পুরসভা আগেই মাস্টার প্ল্যানের অংশ ছিল। এবার সঙ্গে আরও তিনটি ব্লককে যুক্ত করা হল এই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে। কিন্তু জমি-জটের সমস্যা না মেটায় এই প্রকল্পের বাস্তবায়ণ নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে।