বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাতে মাত্র গোনা কয়েকটা মাস। বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। তার আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে। বিধানসভা ভোটের আগে ফের একবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আওতায় অনুদান বাড়তে চলছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ভোটের বৈতরণী পার করতে এবারেও মমতা সরকারের বড় তুরুপের তাস হতে পারে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই।
একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে চাপে থাকা তৃণমূল সরকারকে গদি থেকে সরাতে বিরোধীদের ধারালো হাতিয়ার এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। বঙ্গে ক্ষমতায় এলে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দ্বিগুন করে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিজেপির নেতারা। তবে বিপুল সংখ্যক মহিলা ভোট নিশ্চিত করতে মমতা সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বরাদ্দ নিয়ে নতুন কোনও ভাবনাচিন্তা যে করবেই সেই বিষয়ে খুব একটা সন্দেহ নেই রাজনৈতিকমহলে।
রাজনৈতিকমহলের মতে এবারের বিধানসভা ভোটেও বেশ কিছু চমক রাখবে শাসক শিবির। যেই তালিকার একেবারে শীর্ষে থাকতে পারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। বিপুল সংখ্যক মহিলা ভোট নিশ্চিত করতে তৃণমূলের অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। তাই সেক্ষেত্রে ভোটের আগে যদি মহিলাদের জন্য চালু হওয়া এই প্রকল্পের বরাদ্দ দ্বিগুনও হয় সেক্ষেত্রেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না বলে অভিজ্ঞ কর্তাদের একাংশের মত।
মে মাসে উত্তরবঙ্গের এক প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সারা ভারতে নয়, সারা পৃথিবীতে আমরা চালু করেছিলাম। সারাজীবন চলবে। মেয়েদের সম্মান, মা-বোনদের সম্মান।” ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের মহিলাদের জন্য ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প এনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর থেকে রাজ্যের সামাজিক প্রকল্পগুলির মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে পার্থের জামিন মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী, কারণ কি?
রাজ্যের ২৫ থেকে ৬০ বছর বসয়ী মহিলারা পান লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এই প্রকল্পের আওতায় তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মহিলারা মাসে ১২০০ এবং সাধারণ সম্প্রদায় অর্থাৎ জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলারা ১০০০ টাকা করে পান।
বিধানসভা ভোটের আগে ফের একবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে সুখবর আসতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। হয়তো চলতি বছরের শেষের দিকে বা আগামী বছর একদম শুরুতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে সুখবর আসবে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সর্বোচ্চ ২০০০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা। যদিও এই নিয়ে সরকারি ভাবে কিছু বলা হয়নি এখনও পর্যন্ত।