বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জমি-বাড়ি কেনাবেচায় নাগরিকদের যাতে আর প্রশাসনিক হয়রানির মুখে পড়তে না হয়, সেই লক্ষ্যে নতুন উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। এবার থেকে রাজ্যের পুর এলাকায় জমি-বাড়ি কেনার পর আলাদা করে পুর-মিউটেশনের আবেদন করতে হবে না। রেজিস্ট্রেশনের সময়ই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হবে মিউটেশন প্রক্রিয়া। অর্থাৎ, সফলভাবে রেজিস্ট্রেশন শেষ হলেই সংশ্লিষ্ট পুরসভার তথ্যভাণ্ডারে পুরোনো মালিকের জায়গায় নতুন মালিকের নাম চলে আসবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে।
আর লাগবে না আলাদা আবেদন
বর্তমানে রেজিস্ট্রেশনের পর পুর-মিউটেশনের জন্য আলাদা করে আবেদন করতে হয়। জমা দিতে হয় দলিল, আগের কোয়ার্টারের সম্পত্তি করের রসিদ, এবং সচিত্র পরিচয়পত্র। যদিও এই প্রক্রিয়া এখন অনলাইনেও সম্ভব, তবুও অনেকেই হয়রানি এড়াতে তা ফেলে রাখেন। এর ফলে পুরসভার নথিতে প্রাক্তন মালিকের নামই থেকে যায়, যার কারণে সম্পত্তি কর আদায়ে সমস্যা দেখা দেয়। আবার ভবিষ্যতে সেই সম্পত্তি বিক্রি হলে বকেয়া করের দায় এসে পড়ে নতুন মালিকের উপর।
পুরসভার রাজস্ব রক্ষা ও স্বচ্ছতার লক্ষ্যে উদ্যোগ রাজ্যের (West Bengal Government)
প্রশাসনিক (West Bengal Government) সূত্রে খবর, বর্তমানে শুধুমাত্র অনলাইনে পুর-মিউটেশন করা যায়। গত দু’বছরে প্রায় ৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৬৩৫টি পুর-মিউটেশন সম্পন্ন হয়েছে। তবে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি হওয়া উচিত বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। তাঁদের মতে, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি চালু হলে পুরসভার হাতে সম্পত্তি সম্পর্কিত নির্ভুল তথ্য থাকবে, এবং রাজস্ব আদায়ও আরও স্বচ্ছ হবে।
এই নতুন পরিষেবা যত দ্রুত সম্ভব চালু করতে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর এবং অর্থদপ্তরের অধীনস্থ ‘ডিরেক্টরেট অব রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড স্ট্যাম্প ডিউটি’ যৌথভাবে কাজ শুরু করেছে। রাজ্যের (West Bengal Government) সব পুরসভায় একই সঙ্গে এই পরিষেবা চালুর প্রস্তুতি চলছে। এক পদস্থ আধিকারিক জানান, রেজিস্ট্রেশন ডিরেক্টরেটের পোর্টাল ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভা, পুরদপ্তর এবং নিউটাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এর ফলে নথি যাচাই ও তথ্য মিলিয়ে দেখা আরও সহজ হবে।
প্রসঙ্গত, জমি বা বাড়ি কেনার পর ভূমিদপ্তরের তথ্যভাণ্ডারে নতুন মালিকের নাম স্বয়ংক্রিয়ভাবে উঠে যাওয়ার ব্যবস্থা আগেই চালু হয়েছে। এবার পুর-মিউটেশনের ক্ষেত্রেও সেই ডিজিটাল সুবিধা প্রবর্তন করতে চলেছে রাজ্য (West Bengal Government)। প্রশাসনিক কর্তাদের আশা, এতে ক্রেতাদের কোনও অতিরিক্ত ঝক্কি বা হয়রানির শিকার হতে হবে না, পাশাপাশি পুর প্রশাসনের কাজও হবে আরও দ্রুত ও স্বচ্ছ।