বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শনিবার রাতে রামনবমী উপলক্ষে নয়া ছুটির (Ram Navami Holiday) ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই প্রথম রামনবমীতে ছুটি ঘোষণা করল রাজ্য। কার্যত নজিরবিহীন বলা যেতে পারে রাজ্যের এই সিদ্ধান্তকে। শনিবার এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে নবান্নের (Nabanna) তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। কারা কারা পাবেন এই ছুটি?
শনিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নবান্ন জানিয়েছে, আগামী ১৭ এপ্রিল রামনবমীর দিন জরুরি পরিষেবা বাদ দিয়ে রাজ্য সরকারি এবং সরকার পোষিত সমস্ত প্রতিষ্ঠান গুলিতে ছুটি থাকবে। প্রসঙ্গত বিগত কয়েক বছর ধরে রাজ্যজুড়ে ঘটা করে এই দিনটাকে পালন করা হয়। তবে রামনবমীতে কোনো সরকারি ছুটি দেওয়া হত না।
এর আগে বহুবার রামনবমীর ছুটির বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। তবে তাতে কখনও কর্ণপাত করেনি মমতা সরকার। তবে এবার যখন শিয়রে লোকসভা নির্বাচন, সেই সময় দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
এমনিতে বিভিন্ন উৎসবে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ছুটি দিয়ে থাকে রাজ্য। এবার তাতে যোগ হল রামনবমী। এদিকে ভোটমুখী রাজ্যে রামনবমীতে ছুটি ঘোষণা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এই নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ভোটের আগে কেন নবান্ন এই ঘোষণা করল, তা সবাই বুঝতে পারছে। বাংলার মানুষ অত বোকা নয়।’’
আরও পড়ুন: শাহজাহান মামলায় এবার ‘সেই’ ব্যক্তিকে তলব করল CBI, আজই সব ফাঁস? শোরগোল রাজ্যে
ওদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ” সময় বদলাচ্ছে ! চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে শ্রী রাম নবমী উৎসবের দিন মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রী রামচন্দ্রের সম্মানে এই প্রথম বার রাজ্য সরকার ছুটি ঘোষণা করল। জানুয়ারি মাসে রাম নবমীর দিন ছুটি না দেওয়ার জন্য আমি এই রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছিলাম, আজ রাজ্য বাধ্য হয়ে ছুটি ঘোষণা করল”।
যদিও তৃণমূলের বক্তব্য, বিজেপি বিভেদকামী বলেই এসব বলছে। বিজেপি কুতসার রাজনীতি করছে। বাংলায় মতুয়া মহাসঙ্ঘের হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিন-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রাজ্য সরকার ছুটি দিয়ে থাকে। সম্প্রতি সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে আদিবাসীদের করাম পুজো। আর এখন ছুটির তালিকায় যোগ হল রামনবমী। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।