বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের মুখে ফের হাসি ফোটাতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। কৃষকদের আর্থিক সুরক্ষা ও উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে রাজ্যের কৃষি উন্নয়ন দপ্তর ধানের সহায়ক মূল্য (Paddy MSP rate) বৃদ্ধি করেছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ কৃষক বড় উপকৃত হতে চলেছেন।
আগামী সোমবার থেকেই রাজ্যজুড়ে সরকারিভাবে ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। তার ঠিক আগেই রাজ্য সরকার ঘোষণা করল ধানের সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির (Paddy MSP rate) সিদ্ধান্ত। এর ফলে কৃষকেরা এখন থেকে নতুন বর্ধিত হারে ধান বিক্রয় করতে পারবেন। সরকারের এই পদক্ষেপ কৃষকদের আয়ে সরাসরি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির (Paddy MSP rate) সিদ্ধান্ত
কৃষি উন্নয়ন দপ্তরের এই পদক্ষেপের ফলে ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (Paddy MSP rate) বেড়ে যাওয়ায় কৃষকদের লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এতদিন ধান বিক্রির সময় মূল্য নিয়ে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হতো, সরকারের নতুন সিদ্ধান্তে তা অনেকটাই দূর হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ কৃষকদের আর্থিক ভিত্তিকে শক্তিশালী করবে এবং তাদের চাষের প্রতি আস্থা বাড়াবে।
ধান বিক্রির প্রক্রিয়ায় নতুন সুবিধা
ধান বিক্রির ক্ষেত্রে এ বছর বেশ কিছু নতুন নিয়ম এবং সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম, কৃষকেরা এখন ন্যূনতম ১৫ কুইন্টাল ধান বিক্রির সুযোগ পাবেন। এটি ছোট এবং মাঝারি কৃষকদের কথা মাথায় রেখে নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এছাড়া, এবার থেকে ধান বিক্রির জন্য অনলাইন বুকিং-এর সুবিধা থাকবে। কৃষকেরা নির্দিষ্ট মান্ডিতে ধান বিক্রির জন্য নিজেদের সুবিধামতো স্লট বুক করতে পারবেন, ফলে লম্বা লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা অনেকটাই কমবে।
এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি এবার ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে। এর ফলে টাকা সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে, যা দুর্নীতি রোধে কার্যকর ভূমিকা নেবে। একই সঙ্গে সময় বাঁচবে এবং স্বচ্ছতা বাড়বে। রাজ্যের কৃষি দপ্তর জানিয়েছে, পুরো প্রক্রিয়ার লক্ষ্য হল কৃষকের হাতে দ্রুত এবং নিরাপদে দাম পৌঁছে দেওয়া।

আরও পড়ুনঃ ব্যাঙ্কে লাইন নয়, এবার অনলাইনেই জমা দিন লাইফ সার্টিফিকেট! কারা পারবেন, কারা নয়? জানুন
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে (Paddy MSP rate) কৃষক মহলে ইতিমধ্যেই খুশির হাওয়া বইছে। বহুদিন ধরেই ধানের ন্যায্য মূল্য বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছিলেন কৃষকেরা। সেই দাবি পূরণ হওয়ায় তাঁদের মধ্যে স্বস্তি। কৃষকরা মনে করছেন, এই উদ্যোগ তাঁদের আর্থিক সংকট থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করবে এবং ভবিষ্যতে আরও চাষে উৎসাহ জোগাবে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ধানের সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি ও বিক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার এই পদক্ষেপ রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে, যার ফলে শুধু কৃষকদের আয়ই নয়, রাজ্যের সামগ্রিক কৃষি অর্থনীতিও মজবুত হবে।













