বাংলাহান্ট ডেস্ক : ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের ভবিষ্যৎবাণী করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। হুঁশিয়ারি দিলেন বাংলাতেও পালা বদল হবে সরকারের। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন ‘সবে মহারাষ্ট্র দিয়ে শুরু হয়েছে। এ বারে ঝাড়খণ্ড, রাজস্থানেও হবে। এই রাজ্যেও ২০২৬ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। ২০২৪ সালেই তৃণমূল সরকারকে আমরা বিসর্জন দিয়ে দেব।’ তৃণমূলের পাল্টা চ্যালেঞ্জ, বাংলায় বিজেপি উচিত শিক্ষা পেয়েছে। ২০২৪-এ বাকিটাও পেয়ে যাবে।
হঠাৎ ভবিষ্যদ্বাণী কেন শুভেন্দুর?
জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি রাজ্যপালের সঙ্গে এক সাক্ষাতের পর থেকেই শুভেন্দু প্রথম ২০২৪ সালে সরকার পতনের ভবিষ্যদ্বাণী করেন। তার পর থেকে মাঝে মাঝে সুযোগ পেলেই এই বুলি আওড়াতে থাকেন। সোমবার কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় দু’টি সভায় অংশ নেন শুভেন্দু। এই জনসভা থেকেই আবারও তুলে আনেন ২০২৪ সালের প্রসঙ্গ। এ দিন তিনি এই সম্পর্কে ভাষণ দিতে গিয়ে আরও তিন বিজেপি বিরোধী শাসিত রাজ্য মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড ও রাজস্থানকেও তুলে আনেন। এবার প্রশ্ন ওঠে তা হলে কি মহারাষ্ট্রে এই টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরির পিছনে বিজেপির হাত থাকার অভিযোগ মেনে নিলেন শুভেন্দু?
বিজেপি অনেক আগেই ঘোষণা করেছে মহারাষ্ট্রে মহা বিকাশ অঘাড়ী জোট সরকারের এই রাজনৈতিক সঙ্কট নিয়ে তাঁরা নাকি কিছুই জানেন না। এটা একেবারেই শিবসেনার অভ্যন্তরীণ বিষয়। যদিও শুভেন্দু কিন্তু এ দিন দাবি করেন, মহারাষ্ট্রের বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কেরা রয়েছেন বিজেপির সঙ্গেই। তারপরেই তিনি বলে বসেন, ‘এতো সবে মহারাষ্ট্র দিয়ে শুরু হয়েছে।’
রাজস্থানে বিধানসভা ভোট ২০২৩ আর, ঝাড়খণ্ডে ২০২৪ সালে। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট ২০২৬ সালে। সেখানে শুভেন্দু ২০২৪ সালেই সরকার পরিবর্তনের দাবি করছেন বারংবার। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আবার আর এক কদম বাড়িয়ে বলেন, ‘২০২৪-এর আগেও বাংলায় সরকার পড়ে যেতে পারে। তৃণমূলের অবস্থা একদমই ভাল নয়।’ যদিও এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, মহারাষ্ট্রে শিবসেনা সরকারের সঙ্কটের জন্য বিজেপি কিন্তু একেবারেই দায়ী নয়।
তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আবার পাল্টা জবাব দেন শুভেন্দুকে। তিনি বলেন, ‘ঝুলি থেকে বেড়ালটা শুভেন্দু তো নিজেই বার করে ফেললেন। টাকা দিয়ে, সিবিআই লাগিয়ে এ ভাবেই বিজেপি বিভিন্ন রাজ্যে বিরোধীদের সরকার ফেলার জন্য কলকাঠি নাড়ছে বিজেপি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আলাদা ধাতুতে গড়া। এক বার বিজেপির শিক্ষা হয়েছে। ২০২৪ সালে বাকিটাও পেয়ে যাবে। ২০২৬ পর্যন্ত আর অপেক্ষা করতে হবে না বিজেপিকে।’