বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উনিশের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election) গেরুয়া ঝড়ের সাক্ষী ছিল বাংলা। ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টি আসনে পদ্ম ফুটেছিল। অপরদিকে তৃণমূল জয়ী হয়েছিল ২২টি আসনে, কংগ্রেসের ঝুলিতে ২টি। চব্বিশেও (Lok Sabha Election 2024) কি একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে? বাংলার মানুষ কী বলছে? প্রথম দফার ভোটগ্রহণের আগে সম্ভাব্য ফলাফল সম্বন্ধে ইঙ্গিত দিল এবিপি আনন্দ এবং সি ভোটারের সমীক্ষা।
গত ৫ জানুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল অবধি এই সমীক্ষা (Opinion Poll) চালানো হয়েছে। তার ফলাফলেই আঁচ করা গিয়েছে কোন কেন্দ্র থেকে জয়ী হতে পারে কোন দল। সমীক্ষা অনুসারে, আলিপুরদুয়ারে জয়ী হতে পারেন পদ্ম প্রার্থী মনোজ টিগ্গা। মালদা দক্ষিণ কেন্দ্রে জোর লড়াই হবে। ৩% ভোটের সুইংয়ে বদলে যেতে পারে ফলাফল। এখন আপাতত এগিয়ে রয়েছেন কংগ্রেসের ঈশা খান চৌধুরী। তৃণমূল (TMC) প্রার্থী শাহনওয়াজ আলি রায়হান তিনে নামতে পারেন।
এবারের নির্বাচনে নজরে থাকলে কলকাতা উত্তর। সমীক্ষা অনুযায়ী, এই আসনে জিততে পারেন তৃণমূলের (Trinamool Cogress) সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সদ্য ‘ফুলবদল’ করা তাপস রায় হারের মুখ দেখতে পারেন। গতবার তৃণমূল জয়ী হলেও, এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে জয়নগরে। বর্তমানে জোড়াফুল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডল এগিয়ে আছেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বিজেপির (BJP) অশোক কাণ্ডারি। তবে ১% ভোটের সুইংয়েই পাল্টে যেতে পারে চিত্র।
আরও পড়ুনঃ হিন্দু নাম ব্যবহার করে বাংলায় আশ্রয়! রামেশ্বরম বিস্ফোরণের দুই জঙ্গির মাথার দাম কত ছিল জানেন?
গত দু’বার ঘাটাল থেকে জয়ী দেব ওরফে দীপক অধিকারী এবার কড়া টক্করের মুখে পড়তে পারেন বলে অনুমান। আপাতত তৃণমূল প্রার্থী এগিয়ে থাকলেও ৩% ভোটের সুইং হলেই পাল্টে যেতে পারে চিত্র। সমীক্ষা অনুসারে, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন পদ্ম প্রার্থী হিরণ। জয়নগরের মতো ঝাড়গ্রামেও ১% ভোট সুইং হলে রেজাল্ট বদলে যেতে পারে। আপাতত বিজেপির প্রণত টুডু এগিয়ে থাকলেও, শেষ মুহূর্তে চমক মিলতেই পারে।
প্রবীণ বাম নেতা মহম্মদ সেলিম এবার মুর্শিদাবাদ থেকে দাঁড়িয়েছেন। ওই কেন্দ্রে আপাতত এগিয়ে আছেন জোড়াফুল প্রার্থী আবু তাহের খান। বাঁকুড়া কেন্দ্রে আবার জিততে পারেন বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার। তবে ৩% ভোট সুইং হলেই বিজয়ী হতে পারেন তৃণমূলের অরূপ চক্রবর্তী। আসানসোল কেন্দ্রে আবার শত্রুঘ্ন সিনহা এবং সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার মধ্যে জোর টক্কর হতে পারে বলে অনুমান। ১% ভোটের সুইংয়ের পাল্টে যেতে পারে বিজেতার নাম। আপাতত এগিয়ে আছেন তৃণমূলের শত্রুঘ্ন।
জঙ্গিপুর কেন্দ্রে জয়ী হতে পারেন তৃণমূলের খলিলুর রহমান। কাঁথিতে পদ্ম ফোটাতে পারেন শুভেন্দু সহোদর সৌমেন্দু অধিকারী। ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে এবার প্রচুর টানাপোড়েন হয়েছে। স্বভাবতই এই কেন্দ্রে অনেকের নজর থাকবে। সমীক্ষা অনুযায়ী, আপাতত এগিয়ে বিজেপির অর্জুন সিং। তবে ১% ভোটের সুইংয়ে ফলাফল পাল্টে জয়ী হতে যেতে পারেন তৃণমূলের পার্থ ভৌমিক। অন্যদিকে রানাঘাট এবং বনগাঁ দুই কেন্দ্রেই এবার পদ্ম ফুটতে পারে বলে অনুমান।
উলুবেড়িয়া থেকে আপাতত এগিয়ে আছেন তৃণমূলের সাজদা আহমেদ। বীরভূমেও জয়ী হতে পারেন জোড়াফুল প্রার্থী শতাব্দী রায়। কোচবিহার এবং আরামবাগে এবার জোর টক্কর হতে পারে। দুই কেন্দ্রে আপাতত এগিয়ে আছেন বিজেপি প্রার্থীরা। তবে ৩% ভোটের সুইংয়ে পাল্টে যেতে পারে ফলাফল। বীরভূমেও ৩% ভোট সুইংয়ে রেজাল্ট পাল্টে যেতে পারে। বিষ্ণুপুর এবং বারাসাতেও এবার জোর লড়াই হবে। বিষ্ণুপুরে প্রাক্তন দম্পতির লড়াইয়ে জিততে পারেন বিজেপির সৌমিত্র খাঁ। তবে ১% ভোট সুইং হলেই জিতে যেতে পারেন সুজাতা মণ্ডল। বারাসাতে একই জিনিস ঘটতে পারে। আপাতত তৃণমূলের কাকলি ঘোষ দস্তিদার এগিয়ে আছেন। তবে ১% ভোট সুইং পাল্টে দিতে পারে তাঁর ‘ভাগ্য’।
আরও পড়ুনঃ পয়লা বৈশাখের ছুটিটাই মাটি! এবার সরকারি কর্মীদের জন্য বাড়তি ছুটি ঘোষনা করল নবান্ন
গতবার তৃনমূলের জেতা যাদবপুরে এবার ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা। আপাতত তৃণমূলের সায়নী ঘোষ এগিয়ে থাকলেও কড়া টক্কর দেবেন বাম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য এবং বিজেপি অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। ৩% ভোট সুইং হলেই পাল্টে যেতে পারে যাদবপুরের বিজেতার নাম।