Cooch Behar News: চাকরি পেয়েই ফোন নম্বর ব্লক করে পগারপার প্রেমিক, বিয়ের দাবিতে ধর্নায় বসলেন প্রেমিকা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কথায় বলে, প্রেম যে কাঁঠালের আঠা লাগলে পরে ছাড়ে না। যতই দূরত্ব বাড়ুক, যতই মনোমালিন্য হোক, কথা কাটাকাটি হোক না কেন, মনের মানুষের হাত সহজে ছেড়ে দেওয়া যায়? না! বোধহয় সহজে ছেড়ে দিতে পারেননা কোন কোন ব্যক্তি। আবার কোন কোন ব্যক্তি খুব সহজেই সমস্ত সম্পর্কের দায় এক মুহূর্তেই এড়িয়ে যেতে পারেন। ঠিক এমনই দুটো ভিন্ন চিত্র উঠে আসছে কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা ১ নম্বর ব্লকে।

নিজের মনের মানুষকে কাছে পেতে হত্যা দিয়ে বসে পড়েছেন প্রেমিকা, প্রেমিকের বাড়ির দরজার সামনে। কিন্তু প্রেমিক একেবারেই লাপাত্তা। ইতিমধ্যে প্রেমিকার ধর্নায় বসার পর থেকে প্রায় দেড় দিন পার হয়ে গেলেও মন গলেনি প্রেমিকের বাড়ির লোকজনের। বরং ধর্না তুলতে প্রয়োজনে পুলিশ-প্রশাসনের সাহায্য নেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রেমিকের মা। যদিও উপেক্ষা, হুঁশিয়ারিতে দমে যেতে নারাজ সেই কন্যা।

জানা গিয়েছে, কোচবিহারের সাঙ্গারবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ওই যুবতীর সঙ্গে মাথাভাঙ্গা-১ নম্বর ব্লকের কুর্শামারির যুবক আশু বর্মনের প্রেমের সম্পর্ক গড়িয়েছিল ফেসবুকের দৌলতেই। যুবতী অবশ্য দাবি করছেন, তাঁর কাছে নাকি তাদের প্রণয়ঘটিত সম্পর্কে সমস্ত তথ্য প্রমাণ রয়েছে। কিন্তু, সম্প্রতি আশু বর্মন চাকরি পেতেই ওই যুবতীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চান না বলেই অভিযোগ উঠেছে‌। কিন্তু, নাছোড়বান্দা যুবতী আশুর সাথে বিয়ের দাবি নিয়ে আশু বর্মনের বাড়ির সামনে হাজির হন।

সূত্রের খবর, যুবতীর সঙ্গে গত রবিবার আশুর শেষ বারের মত কথা হয়। তিনি জানান, “বিয়ে করার কথা বলে গত পরশু আমাকে ফোন করে এবং তাঁকে বাড়িতে আসতে বলে। কিন্তু ফোনে কথা বলার পর থেকেই আমার মোবাইল নম্বর ব্লক করে রেখেছে। আমাদের প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করছে সে।” এমনকি, যতক্ষণ পর্যন্ত না তার সেই প্রেমিক ফিরে আসছেন ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি ধর্না চালিয়ে যাবেন বলেও উল্লেখ করেন।

ইতিমধ্যে এই যুবতীর কান্ড-কারখানা দেখে ক্ষোভে ফুঁসছেন আশু বর্মনের মা। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে এই মেয়ের। কিন্তু ওর সঙ্গে ছেলের কোনও সম্পর্ক নেই। আমার ছেলেকে চক্রান্ত করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে ওই যুবতী। প্রয়োজনে আমরা পুলিশ-প্রশাসনের সহযোগিতা নেব।” এদিকে এলাকা ছেড়ে উধাও স্বয়ং আশু। প্রেমিকা ধরনায় বিষয়ে এখনো পর্যন্ত তার তো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও শেষ পর্যন্ত এই যুবতী সাথেই তিনি ঘর বাঁধেন কিনা সেটা অবশ্য সময়ই বলবে।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর