বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের কেন্দ্র-রাজ্য তরজা। বহুদিন থেকে বিভিন্ন বিভিন্ন সূত্রে শোনা গিয়েছে রাজ্যে স্বাস্থ্য (Health Department) খাতে অর্থ পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার (Central Government)। এবার সেই দাবির পাল্টা রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলল কেন্দ্র (State Government)। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক তরফে অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন বাস্তবায়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে স্বাক্ষরিত মউ চুক্তির শর্ত মানেনি৷ সেই চুক্তির বিধান অনুযায়ী কাজ হয়নি।
জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের (এনএইচএম) অধীনে তহবিলের বকেয়া অর্থের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (PM Narendra Modi) একটি চিঠি লিখেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banrerjee)। এবার সেই চিঠির প্রেক্ষিতে পাল্টা চিঠি দিল কেন্দ্র।
চিঠি দিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে, রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য মিশনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের শর্ত মানেনি বাংলা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক তরফে অভিযোগ, আয়ুষ্মান ভারতের স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্রগুলির নাম পাল্টে দিয়েছে রাজ্য। কেন্দ্রের শর্তাবলী অনুযায়ী, প্রকল্পের নাম অনুযায়ী ওই সব স্বাস্থ ও সুস্থতা কেন্দ্রগুলির নাম রাখতে হবে Health and Wellness Center। আর বাইরে লিখতে হবে আয়ুষ্মান মন্ত্রী। তবে সেই নাম বদলে স্থানীয় ভাষায় সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র বা সুস্বাস্থ্য প্রকল্প রেখেছে মমতা সরকার।
আরও পড়ুন: ‘অধিকার কেড়ে নিতে হবে…’, এবার রাস্তায় নামার কথা শোনা গেল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের গলায়
পাশাপাশি অভিযোগ এসেছে স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্রগুলির রং নিয়েও। শর্তাবলী অনুযায়ী, সেই স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলির রং রাখতে হত মেটালিক হলুদ। তবে রং বদল করে বিল্ডিংয়ের রং নীল-সাদা করা হয়েছে। মিডিয়া রিলিজ জারি করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, “এবি-এইচডব্লিউসি-এর শিরোনামটি আঞ্চলিক ভাষায় ‘সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র’ এবং ইংরেজিতে ‘স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্র’ হিসাবে লেখা হয়েছে ৷”
প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্র জানিয়েছে, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের ক্ষেত্রে বাংলা বঞ্চনার শিকার এই অভিযোগ সত্য নয়। বরং রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য মিশনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের শর্ত ভঙ্গ করেছে বাংলা। তাই এর টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে। যেই সমস্ত রাজ্য কেন্দ্রের শর্তাবলী মেনে কাজ করেছে তাদের টাকা ঠিক মতই দেওয়া হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করেছে যে, ব্র্যান্ডিং নির্দেশিকা মেনে চলার বিষয়ে আলোচনা করতে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সঙ্গে বহু সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। “এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গেও বেশ কিছু নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে ” বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র।