বাংলাহান্ট ডেস্ক : কিছুদিন আগেই বাংলায় ঘোষণা হয়েছে এসআইআর (SIR)। বিহার, তামিলনাড়ুর পর পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা দেশেই ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনী হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, দেশের মধ্যে সবথেকে কম বিএলএ দিয়েছে এই রাজ্যই। এসআইআর (SIR) নিয়ে সম্প্রতি সর্বদলীয় বৈঠকে অধিকাংশই রাজনৈতিক এজেন্ট নিয়ে অনীহা প্রকাশ করেছে।
এসআইআর (SIR) এর জন্য বিএলএ দিতে অনীহা রাজনৈতিক দলগুলির
তৃণমূলের আশঙ্কা, এতে এজেন্টদের তালিকা প্রকাশ হয়ে যেতে পারে। বিজেপির তরফেও একই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। সিপিএম এর দাবি, এসআইআর (SIR) শুরু হয়ে গেলে রাজ্যের ৬০ শতাংশ বুথে এজেন্ট দিতে পারবেন তারা। বিজেপির দাবি অবশ্য, সব বুথেই এজেন্ট দিতে পারবে তারা। জানা যাচ্ছে, বিএলএ দেওয়ার ক্ষেত্রে দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান এখনও সবথেকে নীচে বলেই জানা যাচ্ছে।

বিএলওদের উপরে চাপ তৈরির অভিযোগ: যদিও অনেকের মতে, শুরুতে না দিলেও আগামী ৩ রা নভেম্বর সমস্ত রাজনৈতিক দল তাদের বিএলএদের তালিকা দেবে। এদিকে বাংলায় বিএলওদের (SIR) উপরে চাপ তৈরি করা হচ্ছে বলে আগেই অভিযোগ উঠেছিল। জানা যাচ্ছে, বিএলওদের আগে থেকেই বলে দেওয়া হচ্ছে, আধারের উপরে ভিত্তি করেই যেভাবেই নাম তুলে দিতে হবে।
আরও পড়ুন : পরিকাঠামোয় আমূল উন্নয়ন, মেট্রোর ব্লু লাইনে ভিড় সামলাতে সিগন্যাল ব্যবস্থায় বদল, বরাদ্দ কয়েকশো কোটি!
কী অভিযোগ উঠছে: এমনকি অভিযোগ উঠছে, বিএলওদের একাংশকে ভয় দেখাতে বন্দুক দেখানো হচ্ছে, প্রলোভনও দেখানো হচ্ছে। অনেকে এ বিষয়ে আপত্তিও প্রকাশ করেছে। এমতাবস্থায় বিএলওদের নিরাপত্তা নিয়েও উঠে গিয়েছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন : SIR ঘোষণায় হুড়োহুড়ি, রাজ্যের সিইও দফতরের নতুন ওয়েবসাইট চালু, কীভাবে খুঁজবেন ২০০২ এর ভোটার তালিকা?
CEC জ্ঞানেশ কুমার এ বিষয়ে জানান, এ ধরণের কোনও ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের প্রশাসনই পদক্ষেপ করবে বলে আশা করেন তিনি। কমিশনের (SIR) হস্তক্ষেপ করার মতো কোনও পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে তিনি মনে করেন না বলেই মন্তব্য করেন জ্ঞানেশ কুমার। বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে ERO দের আবারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে এজেন্ট দেওয়ার জন্য প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে আবারও অনুরোধ করা হয়।













