বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পরপর তিনবার ডিএ (Dearness Allowance) মামলার শুনানি পেছল সুপ্রিম কোর্টে। ফের একের পর এক তারিখ সামনে আসায় নতুন করে চৰ্চা শুরু হয়েছে। জানা যাচ্ছে, আগামী সোমবার এই মামলা বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রর বেঞ্চে উঠবে। তবে এরই মধ্যে রাজ্যের নতুন লিখিত জমা দেওয়া ৬২ পাতার নথি ঘিরে নতুন করে চর্চা।
ডিএ মামলায় নয়া মোড়? Dearness Allowance
আগামী সোমবার এই মামলা দুপুর ২টোয় ধার্য করা হয়েছে। তবে মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, এই শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন হবে। কারণ কি? জানা যাচ্ছে, ৮ই সেপ্টেম্বরের কার্যতালিকা এখনও প্রকাশিত হয়নি। যাতে বিচারপতি সঞ্জয় করোল ও বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের বেঞ্চে নির্দিষ্ট সময়ে ডিএ মামলা শুনানির জন্য ওঠে সেই কারণে আগে থেকেই এই অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
বিশেষ অনুমতির ফলে ৮ই সেপ্টেম্বর অন্য কোনো মামলা ওই আদালতে নিবন্ধিত হবে না। এর দ্বারা ডিএ মামলাটির ওই দিন বেঞ্চে নিশ্চিত শুনানি হবে। সূত্রের খবর, রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল একটি ৬২ পাতার লিখিত যুক্তি শীর্ষ আদালতে জমা দিয়েছেন। কি বলা হয়েছে তাতে?
রাজ্যের যুক্তি, ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো অনুযায়ী, কোনও রাজ্যের সরকার কেন্দ্রীয় হারে ডিএ প্রদান করতে আইনত বা সাংবিধানিকভাবে বাধ্য নয়। কলকাতা হাইকোর্ট বা ট্রাইব্যুনালও রাজ্যকে কেন্দ্রীয় সরকারের ফর্মুলা অনুযায়ী ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে যুক্তিতে।
আরও পড়ুন: অষ্টম পে কমিশনে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য ভালো খবরের পাশাপাশি আসবে খারাপ খবরও!
পাশাপাশি আরও বলা হয়েছে, দেশের প্রায় অর্ধেক রাজ্যই কেন্দ্রীয় হারে ডিএ প্রদান করে না। এই অবস্থায় শীর্ষ আদালত কেন্দ্রীয় হারে ডিএ প্রদান করার নির্দেশ দিলে তার প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি সেই বাকি রাজ্যগুলোর ওপরেও পড়বে। উল্লেখ্য, ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানিতে রাজ্যের হয়ে আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি এবং কপিল সিব্বলের সওয়াল করার কথা। এর আগের শুনানিতে কপিল সিব্বল, এই মামলায় সওয়াল করতে আরও দু’দিন সময় চাই বলে আদালতে জানিয়েছিলেন। এবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা কোন মামলা নেয় সেটাই দেখার।