বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের মহিলাদের জন্য ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ (Lakshmir Bhandar) প্রকল্প এনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর থেকে রাজ্যের সামাজিক প্রকল্পগুলির মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। তবে সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে জালিয়াতির খবর সামনে আসছে। এই জালিয়াতি রুখতেই এবার বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে জালিয়াতি রুখতে কড়া পদক্ষেপ | Lakshmir Bhandar
বলা হয়েছে, এবার থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম জমা দেওয়ার সময় আবেদনকারীকে সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে। তাঁর হয়ে অন্য কেউ আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন না। আবেদনকারীর মুখাবয়ব ও নথির ছবির মিল দেখে তবেই পরবর্তী পর্যায়ের জন্য পাঠানো হবে। বাঁকুড়ার তালডাংরা ব্লক প্রশাসন তরফে এই সংক্রান্ত নির্দেশ জারি হয়েছে।
হঠাৎ কেন কড়াকড়ি?
সম্প্রতি এক গুরুতর জালিয়াতির অভিযোগ সামনে আসে। তালডাংরার রাজপুরে একটি সাইবার কাফের মালিক মনিরুল খান নিজের আধার কার্ডে এক মহিলার ছবি বসিয়ে লিঙ্গের জায়গায় ‘মহিলা’ লিখে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছিলেন। পরে প্রশাসনের নজরে আসতেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ব্লক অফিসে সেই জাল কার্ড ও ফর্ম জমা পড়ে। অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি মনিরুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অভিযোগ, মনিরুল বেশ কয়েকজনের আধার কার্ডে ছবি বদলে এই আবেদন করার টোপ ফেলতেন। তাতে কার্যসিদ্ধিও হচ্ছিল। তবে বেশিদিন জালিয়াতি চলল না। তবে এই ঘটনা যাতে ফের না ঘটে সেই লক্ষ্যে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। মনিরুলের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার বাড়তি নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন।
রাজ্যের ২৫ থেকে ৬০ বছর বসয়ী মহিলারা পান লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এই প্রকল্পের আওতায় তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মহিলারা মাসে ১২০০ এবং সাধারণ সম্প্রদায় অর্থাৎ জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলারা ১০০০ টাকা করে পান। যা তাঁদের আর্থিকভাবে সাবলম্বী হতে সাহায্য করে। তাই এই প্রকল্পে ভবিষ্যতে যেন আর কোনও জালিয়াতি না হয় সেই লক্ষ্যে কড়াকড়ি বাঁকুড়ার তালডাংরা ব্লক প্রশাসনের।