কেন্দ্রীয় হারেই DA পাবেন পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীরা, নতুন বছরে হয়ে গেল বিরাট ঘোষণা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বহুমাস ধরে ডিএ (Dearness Allowance) ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য। একদিকে যেখানে মোদী সরকার একের পর এক উপহার নিয়ে আসছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য, অন্যদিকে মমতা সরকারের ঘোষণায় অসন্তুষ্ট হয়ে ক্রমেই ফুঁসে উঠছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এই আবহেই
রাজ্য সরকারের অধীনে কর্মরত সরকারি কর্মী, পেনশনার ও শিক্ষকদের হয়ে ফের আওয়াজ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

বুধবার দক্ষিণ কলকাতায় মিছিলে হাঁটেন নন্দীগ্রাম বিধায়ক। মিছিল শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের সরকারি কর্মী, পেনশনার, শিক্ষকদের প্রসঙ্গ উঠে আসে বিরোধী দলনেতার মুখে। তিনি বলেন , সকলকে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া হবে। আর কি কি বললেন বিরোধী দলনেতা?

এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘কথা দিচ্ছি রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মী, পেনশনার, শিক্ষক, সবাইকে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া হবে। রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতা এলেই ক্যাবিনেটে প্রথম এই সিদ্ধান্তই নেওয়া হবে। সকলকে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেব আমরা।’

প্রসঙ্গত এই প্রথম নয়। সেই শুরু থেকেই ডিএ আন্দোলনকারীদের পাশে থেকেছেন বিরোধী দলনেতা। আন্দোলনকারীদের সাহস জোগাতে ডিএ আন্দোলনের মঞ্চেও হাজির হয়েছিলেন। একাধিকবার তাদের ন্যায্য পাওনাও দাবিতে আওয়াজ তুলেছেন। আর এবার লোকসভা ভোটের আগেই বিরাট ঘোষণা করে দিলেন শুভেন্দু। যা শুনে আশায় বুক বাঁধছেন নিজেদের ন্যায্য পাওনা থেকে ‘বঞ্চিত’ রাজ্যের সরকারি কর্মী, পেনশনাররা।

da hike

আরও পড়ুন: অনুদান বন্ধের ভয়! নামফলকে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ লেখার ‘নির্দেশ’ রাজ্য সরকারের

উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য অতিরিক্ত ৪ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১ জানুয়ারি থেকেই বর্ধিত ডিএ কার্যকর হবে। অর্থাৎ এবার থেকে রাজ্য সরকারি কর্মীরা ১০% হারে ডিএ পাবেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণাতে একেবারেই খুশি নন রাজ্য সরকারি কর্মীদের অধিকাংশ। কারণ বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৪৬% হারে ডিএ পাচ্ছেন। আবার কিছুদিনের মধ্যেই তার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ৫০% ছাড়িয়ে যাবে বলেও মনে করা হচ্ছে। এই আবহে ৬ বা ১০% নয়, কেন্দ্রীয় হারেই ডিএ দাবি তুলছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর