মাধ্যমিক নম্বরে কারচুপি? দিশানী অভিযোগ করতেই তদন্তে কলকাতা হাইকোর্ট

Published on:

Published on:

West Bengal Student Moves Calcutta High Court Over Alleged Marks Tampering in Madhyamik Exam

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মাধ্যমিক পরীক্ষার মেধাতালিকায় নাম ওঠা অনেক ছাত্রছাত্রীদের স্বপ্ন। কিন্তু মাত্র দুই নম্বরের জন্য সেই স্বপ্ন হাতছাড়া হলে কষ্টটা আরও গভীর হয়। ঠিক এমনই ঘটনা ঘটেছে হুগলির আরামবাগের আলিপুর সন্তোষ সাধারণ বিদ্যাপীঠের ছাত্রী দিশানী হাজরার ক্ষেত্রে। তাঁর অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর উত্তরপত্রে ওভাররাইট করে নম্বর কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগে সম্প্রতি হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন দিশানী।

মাত্র ২ নম্বরে কোন হাত ছাড়া দশম স্থান, হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দিশানীর

২০২৩ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় দিশানীর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬৮১। অথচ দশম স্থান অধিকারী ছাত্রীর নম্বর ৬৮৩। নিজের উত্তরপত্রের কপি হাতে পেয়ে তিনি দাবি করেছেন, একাধিক প্রশ্নে পরীক্ষক শুরুতে পূর্ণ নম্বর দিলেও পরে তা কেটে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেন এবং সিবিআই তদন্তের আবেদন জানান।

বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে দিশানীর আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী জানান, সঠিক উত্তর দিয়েও নম্বর কেটে নেওয়া হয়েছে, ফলে মেধাতালিকা থেকে তিনি বঞ্চিত হয়েছেন। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ আদালতে জানায়, এই ধরনের ‘ওভাররাইট’ কিভাবে ঘটেছে, তা তাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়।

আদালত (Calcutta High Court) নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ২৫ আগস্টের মধ্যে দিশানীর মূল উত্তরপত্র জমা দিতে হবে। জানা গেছে, সম্প্রতি আরও কয়েকজন পরীক্ষার্থী একই অভিযোগ নিয়ে আদালতে গিয়েছেন।

West Bengal Student Moves Calcutta High Court Over Alleged Marks Tampering in Madhyamik Exam

আরও পড়ুনঃ কর পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন! সংসদে পাস নতুন আয়কর বিল, কবে থেকে কার্যকর হবে?

দিশানীর এই মামলা শুধু তাঁর ব্যক্তিগত ন্যায়ের প্রশ্ন নয়, বরং রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলতে পারে। আদালতের রায় ভবিষ্যতে বহু পরীক্ষার্থীর ভাগ্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।