বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জুন মাসের প্রথম ভাগে পৌঁছে যাওয়ার কথা থাকলেও অনেক টালবাহানার পর অবশেষে গত সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গে এসে পৌঁছেছে বর্ষা। উত্তরবঙ্গে বিগত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে দুর্যোগ চলার পর অবশেষে শহর কলকাতায় এসে পৌঁছেছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। এর প্রভাবে কয়েকদিনে বেশ কিছুটা উধাও হয়ে গিয়েছে আদ্রতাজনিত অস্বস্তি। আগামী কয়েকদিনে দক্ষিণের বেশ কয়েকটি প্রান্তে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সর্তকতা জারি করা হয়েছে। তবে এই সময়কালে ভারী বৃষ্টিপাত হবে না বললেই চলে। অপরদিকে, উত্তরবঙ্গে দুর্যোগ কিছুটা কমলেও আগামী চার-পাঁচ দিনের মাথায় পুনরায় আবহাওয়ার অবনতি ঘটতে চলেছে বলে মত হাওয়া অফিসের।
আবহাওয়ার খবর
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা : ৩৩.২° সেলসিয়াস
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা : ২৭.২° সেলসিয়াস
আর্দ্রতা : ৭৭%
বাতাস : ১৫ কিমি/ঘন্টা
মেঘে ঢাকা : ৭০%
আজকের আবহাওয়া
গত সপ্তাহে বর্ষা এসে পৌঁছালেও এখনো পর্যন্ত অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সাক্ষী থাকেনি বঙ্গবাসী। দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তরে ভারী দুর্যোগ হলেও দক্ষিণবঙ্গের ভাঁড়ার এখনো পর্যন্ত একপ্রকার খালিই বলা চলে। বর্ষার প্রভাবে শহর কলকাতা সহ অন্যান্য একাধিক জেলায় বৃষ্টিপাত হলেও তাকে পর্যাপ্ত বলা চলে না। আগামী কয়েকদিনে একই রকমের আবহাওয়া বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আজ কলকাতা সহ হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমানের একাধিক প্রান্তে ঝোড়ো হাওয়ার সাথে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ ৭৭%।
উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গের আবহাওয়া
এবছর কেরালায় সময়ের পূর্বেই এসে পৌঁছায় দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আর একইসঙ্গে জুনের প্রথম সপ্তাহে বাংলার উত্তর ভাগের দরজাতেও কড়া নাড়ে বর্ষা। তবে এক্ষেত্রে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার অনুপস্থিতির কারণে বজায় থাকে গুমোট ভাব। বিগত কয়েক দিনে অবশ্য আবহাওয়ার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। এক্ষেত্রে বর্ষার দরুণ বৃষ্টি হওয়ার কারণে স্বস্তি মিলেছে বঙ্গবাসীর। তবে এর মাঝেই হাওয়া অফিস জানিয়েছে যে, উত্তরে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণে এ বছর দক্ষিণে বর্ষার প্রভাব থাকবে কম। আগামী দিনে এখানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
অপরদিকে, উত্তরবঙ্গে এবছর বর্ষার প্রভাবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। এমনকি অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যার পাশাপাশি ধসের সর্তকতা পর্যন্ত জারি করা হয়। গত দু’দিনে এই দুর্যোগের পরিমাণ কিছুটা কমলেও আগামী সপ্তাহ থেকে তা পুনরায় বৃদ্ধি পাবে বলে সর্তকতা জারি করা হয়েছে।
আগামীকালের আবহাওয়া
দক্ষিণবঙ্গের ওপর বর্ষা অবস্থান করার কারণে গুমোট গরম কাটার পাশাপাশি বেশকিছু প্রান্তে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়ে চলেছে। কোন কোন জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাত হলেও তা অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হবে না। তবে এক্ষেত্রে ঝোড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টিপাতের দরুণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।